শোভন-বৈশাখীকে নিয়ে বিজেপি নেতা জয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। সঙ্গে দিলীপ ঘোষের ‘না দেওয়া’ সাক্ষাৎকার তাতে ঘৃতাহুতি দিল। সব মিলিয়ে শোভন-বৈশাখীকে নিয়ে তৈরি হওয়া অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মেটবার কোনও নামগন্ধ নেই। সন্ধি সম্ভাবনা বিশ বাঁও জলে।
পূর্ব বর্ধমানের একটি জনসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে বেশ কিছু আপত্তিকর মন্তব্য করেন প্রাক্তন অভিনেতা তথা বিজেপি নেতা জয় বন্দ্যোপাধ্যায়। শুরু হয় বিতর্ক। কড়া প্রতিক্রিয়া দেন শোভন-বৈশাখী। জয় বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র কটাক্ষ করে শোভন চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘বানরের হাতে তলোয়ার দিলে যা হয়, জয় বন্দ্যোপাধ্যায়কে নেতা বানিয়েও তাই হচ্ছে’। বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বর আরও কঠিন। তাঁর কথায়, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন আক্রমণ করতেন, আমার এতটা খারাপ লাগত না। অন্তত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী আমার নাম তো জানেন— এই রকম ভাবতাম। কিন্তু জয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো অন্ধকার যুগের একটা পড়তি অভিনেতা আমার নামে এই সব মন্তব্য করলে মেনে নিতে অসুবিধা তো হবেই’।
অন্যদিকে একটি সাক্ষাৎকারে মুকুল রায় এবং শোভন-বৈশাখীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক সব অভিযোগ করেছেন দিলীপ ঘোষ। তাই নিয়ে সোম-বিকেল থেকে তোলপাড় শুরু হয় রাজ্য রাজনীতিতে। যদিও সেই সাক্ষাৎকার দেওয়ার কথা অস্বীকার করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। দিলীপ বলেন, ‘যে কথা লেখা হয়েছে, ওই রকম কথা কোনও সাক্ষাৎকারে আমি বলিনি। যিনি লিখেছেন, তিনি নিজের মতো করে লিখে দিয়েছেন’।
এই না-দেওয়া সাক্ষাতকার প্রসঙ্গেও দিলীপ ঘোষকে একহাত নিয়েছেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, ‘যদি সাক্ষাৎকারটি তিনি না দিয়ে থাকেন, তা হলে ওই প্রতিবেদকের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করুন’। বৈশাখীর কথায়, ‘এ রাজ্যে দলের যিনি সর্বোচ্চ নেতা, তাঁর মুখ দিয়ে আমার সম্পর্কে এমন একটা মন্তব্য যদি আসে, তা হলে দলে থাকার প্রশ্ন আর ওঠে কী ভাবে! দলে যোগদানের আগে দিলীপবাবুর সঙ্গে যখন কথা হয়েছিল, তখন তো অন্য রকম আন্তরিকতা দেখেছিলাম। এখন তা হলে এই মন্তব্য আসছে কী ভাবে? হয় ওই আন্তরিকতা মিথ্যা ছিল। না হলে আজকের এই মন্তব্য মিথ্যা। কোনটা মিথ্যা, সেটা ওঁর স্পষ্ট করা উচিত’।