‘দিদিকে বলো’তে ফোন করেই মিলল সুরাহা। ব্যান্ডেলের সরকার পরিবার এক নতুন জীবনের হদিস পেল। টানা ৮ বছর শয্যাশায়ী ব্যান্ডেল শ্যামাপল্লীর সহদেব সরকার। নড়াচড়ার ক্ষমতাও হারিয়েছেন। সামান্য চিকিৎসা আর প্রতিবন্ধী ভাতার আশায় একাধিকবার প্রশাসনের কাছে দরবার করেও তেমন সাহায্য মেলেনি। হাল ছেড়ে দিয়েছিলেন। বিছানায় শুয়েই দিন কাটছিল সহদেববাবুর।
সম্প্রতি ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচির খবর পান। তৃণমূল কর্মীদের মারফত হাতে পান কার্ড। আর সেই কার্ডে দেওয়া নম্বরে ফোন করার কয়েক দিনের মধ্যেই মিলল সুফল। সোমবার সকালেই দোরগোড়ায় হাজির হলেন চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার।
সহদেববাবুর স্ত্রী জয়াবতী দেবী ‘দিদিকে বলো’র নম্বরে ফোন করে বিষয়টি জানান। ফোনের ওপার থেকে তাঁকে আশ্বস্ত করা হয়। এর পরই এদিন সকালে বিধায়ক অসিত মজুমদার হাজির হন তাঁদের বাড়িতে। এদিন বিধায়ক জানান, অবিলম্বে যাবতীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ৭ দিনের মধ্যে প্রতিবন্ধী ভাতার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তাঁর চিকিৎসার জন্য হাসপাতালের সুপার, প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলবেন তিনি। পাশাপাশি তাঁর ছেলের একটা ভাল কাজের ব্যবস্থা করে দেবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন বিধায়ক। বিধায়কের আশ্বাস পেয়ে খুশি সরকার পরিবার।
সহদেববাবু আগে চালের গুদামে কাজ করতেন। সেখানেই বছর আটেক আগে এক দুর্ঘটনায় তাঁর শিরদাঁড়া ভেঙে যায়। জেলা থেকে কলকাতা, অনেক ডাক্তারের শরণাপন্ন হয়েও, সুরাহা হয়নি। কর্মক্ষমতা হারিয়েছেন আগেই। ধীরে ধীরে শয্যাশায়ী হয়ে পড়েন। সহদেববাবুর মেয়ে বিবাহিত। ছেলে কলকাতার বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে সামান্য বেতনের চাকরি করেন। সেই উপার্জনে কোনওরকমে চলে তিনজনের সংসার। তার ওপর চিকিৎসার খরচ। অভিযোগ, প্রতিবন্ধী কার্ড থাকতেও কোনও সরকারি সাহায্য মেলেনি। কিন্তু এবার সব সমস্যার সমাধান হবে। বিশ্বাস করেন ব্যান্ডেলের সরকার পরিবার।