ম্যাচ শেষের পরেই তেড়ে গেলেন রেফারির দিকে। তারপরই রেফারি দীপু রায়কে ধাক্কা দিয়ে প্রায় ফেলেই দিচ্ছিলেন ইস্টবেঙ্গলের ম্যানেজার দেবরাজ চৌধুরী। শেষপর্যন্ত তাঁকে নিয়ন্ত্রণ করতে আসরে নামতে হল লাল-হলুদের শীর্ষ কর্তা দেবব্রত সরকার ওরফে নিতুকে। নিতু সরকারের ধমক খেয়েই চুপচাপ দাঁড়িয়ে পড়েন ইস্টবেঙ্গলের সর্ব কনিষ্ঠ ম্যানেজার।
এ দিন খেলার ৬৬ মিনিটে ইস্টবেঙ্গল বক্সে পিয়ারলেস ফুটবলার পঙ্কজ মৌলাকে ফাউল করেন কমলপ্রীত সিং। পেনাল্টি দেন রেফারি। তা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন। কিন্তু রেফারির সিদ্ধান্ত তো সিদ্ধান্তই। তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানোর তো অনেক পন্থা আছে। তাই বলে সরাসরি গায়ে হাত?
দেবরাজের এমন কাণ্ডে ময়দানের অনেকেই তাঁর ম্যাচিওরিটি নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। তাঁদের কথায়, দেবরাজ যা করেছেন, তাতে ম্যাচ কমিশনার যদি কড়া রিপোর্ট দেন, তাহলে অনেক কিছু হতে পারে। পর্যবেক্ষকদের মতে, নিতু সরকার ময়দানের পোড়খাওয়া কর্তা। তিনি বুঝেছিলেন, তখনই যদি দেবরাজকে আটকানো না হত, তাহলে হয়তো বড়সড় শাস্তির খাঁড়া ঝুলত ইস্টবেঙ্গলের কপালে।
গত বছর থেকেই ইস্টবেঙ্গল দলের ম্যানেজারের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন ক্লাবের শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকারের ঘনিষ্ঠ দেবরাজ চৌধুরী। কিন্তু অনেকেই বলছেন, ওঁর এখনও অনেক কিছু শিখতে হবে। শুধু দেবরাজ নয়। খেলার শেষে এ দিন দেখা যায় ইস্টবেঙ্গল ডিফেন্ডার মেহেতাব সিংও রেফারিকে ধাক্কা দিচ্ছেন। ফলে প্রশ্ন উঠছে, যেখানে ম্যানেজারের দায়িত্ব তাঁর দলের প্লেয়ারদের নিয়ন্ত্রণ করা, সেখানে তিনিই কিনা এভাবে মেজাজ হারাচ্ছেন? এখন দেখার এই ঘটনার জল কতদূর গড়ায়।