দেশের অর্থনীতির অবস্থা শোচনীয়। ক্রমশ পড়ছে টাকার দাম। নামছে সেনসেক্স। অর্থনীতিতে মন্দা দেখা দিলেও ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডে এর প্রভাব হয়ত এখনও পড়েনি। যা আবার বোঝা গেল কমিটি অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর্স (সিওএ) টিম ইন্ডিয়ার কোচদের বার্ষিক বেতন ২০ শতাংশ বাড়িয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ায়। যেমন চিফ কোচ রবি শাস্ত্রীর বেতন বেড়ে হয়েছে এখন হয়েছে বছরে ১০ কোটি টাকা।
এখনও ব্যাট–বল নিয়ে মাঠে নামেননি নতুন ব্যাটিং কোচ বিক্রম রাঠৌর। তাঁর বেতন ঠিক হয়েছে বছরে সাড়ে ৩ কোটি টাকা। বোলিং কোচ ভরত অরুণ এবং ফিল্ডিং কোচ শ্রীধরের বেতনও ধার্য করা হয়েছে বছরে সাড়ে ৩ কোটি টাকা করেই। আগে এঁদের বেতন ছিল বছরে ৩ কোটি করে। প্রসঙ্গত, আপাতত চিফ কোচ শাস্ত্রীর বেতন বছরে ৮ কোটি টাকা। তাঁর বেতন বাড়ছে অন্যদের মতোই ২০ শতাংশ। ফলে তা এক লাফে বছরে ২ কোটি টাকা বাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। অর্থাৎ শাস্ত্রীর বেতন বেড়ে এখন দাঁড়াচ্ছে বার্ষিক ১০ কোটি টাকা। প্রসঙ্গত, বোর্ডের সিইও রাহুল জহুরির বার্ষিক বেতন এখন ৮ কোটি টাকা। কেন এই বেতন বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত? সিওএ সরাসরি এ প্রশ্নের জবাব দিতে চায়নি।
বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে হারের পর শাস্ত্রী–সহ টিম ইন্ডিয়ার কিছু কিছু সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্ক দেখা দিলেও ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে গিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে টি-২০, একদিনের ক্রিকেট ও টেস্টে দুরমুশ করে ফিরেছে ভারতীয় দল। সেই সাফল্যে আবার সমস্ত বিতর্ক চাপা পড়ে গেছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের পর নতুন করে চুক্তিবদ্ধ হচ্ছেন কোচেরা। ফলে তাঁরা নতুন বেতন হারে বেতন পাবেন— এমনটাই মনে করছে বোর্ডের একাংশ। তাই আপাতত নতুন বেতনে তাঁদের বর্তমান বেতনের ২০ শতাংশ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিসিসিআইয়ের একটি সূত্রে দাবি করা হয়েছে, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কোচদের বেতন কম–বেশি এমনই।
কোচেদের বেতন বৃদ্ধির পর ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিকের পরিমাণ বাড়ানো হবে কিনা, তা নিয়েও এবার জল্পনা শুরু হয়েছে। একটি সূত্রে খবর, সেই পারিশ্রমিকও বাড়ানো হবে। তবে তা হবে বছরের শেষে ক্রিকেটারদের সঙ্গে চুক্তি নবীকরণের সময়। বিরাটদের সঙ্গে বছরের শেষে বোর্ডের চুক্তির সময় এ–বি–সি–ডি চারটি গ্রুপে থাকা ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিকের অঙ্ক বাড়বে। টেস্ট, একদিনের ক্রিকেট এবং টি২০–র ম্যাচ ফি–ও বাড়ানো হবে বলে খবর। তবে দেশের অর্থনীতির এমন দুরাবস্থার সময়ে কোচ ও ক্রিকেটারদের বেতন বাড়ানোয় সমালোচনার মুখেও পড়েছে বিসিসিআই।