শোভন-বৈশাখীর বিজেপিতে যোগদানের পর থেকেই চাপানউতোড় চলছিল। এবার তা গড়িয়ে এল অভিযোগে। বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদারের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য নেতৃত্বের কাছে অভিযোগ জানালেন শোভন চট্টোপাধ্যায়।
সংবাদমাধ্যমকে শোভন চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘অনবরত অপপ্রচার করা হচ্ছে। ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কথা বলা হচ্ছে এবং সম্পূর্ণ মিথ্যা বলা হচ্ছে। এটা মেনে নেওয়া যায় না। তাই আমি রাজ্য নেতৃত্ব এবং কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে বিষয়টি জানিয়েছি’। প্রাক্তন মেয়রের অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, ‘শোভনবাবু ফোন করেছিলেন। নানা রকম অপপ্রচার চালানো হচ্ছে, ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে কথা বলা হচ্ছে বলে তিনি আমাকে জানিয়েছেন। কে কী বলেছেন, আমি খোঁজ নিচ্ছি। যদি খারাপ কিছু ঘটে থাকে বন্ধ করার চেষ্টা করব’।
দেবশ্রীকে বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেওয়ার নেপথ্যে আছেন জয়প্রকাশ মজুমদার। এমনই দাবি করেন, শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। জয়প্রকাশ আবার পাল্টা দোষ চাপিয়ে দেন শোভনের উপরেই। তাঁর দাবি, দেবশ্রীকে নিয়ে আসলে শোভনের কোনও আপত্তি নেই, বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ই আসল বাধাটা দিচ্ছেন।
জয়প্রকাশের এই দাবির তীব্র বিরোধিতা করেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। দেবশ্রী রায়ের বিষয়ে তাঁর কোনও আপত্তি নেই, আসল আপত্তি বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের— এই তত্ত্ব সম্পূর্ণ নস্যাৎ করেন শোভন। পুরোপুরি ভিত্তিহীন তত্ত্ব খাড়া করে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম বিতর্কে জড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে বলে প্রাক্তন মেয়র দাবি করেন। গত কয়েক সপ্তাহে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে জয়প্রকাশ মজুমদার একের পর এক ভিত্তিহীন কথা রটাচ্ছেন বলেও তিনি অভিযোগ তোলেন।
এই চাপান-উতোর কিছুতেই থামছিল না। শুক্রবারও দেবশ্রী পর্ব নিয়ে জয়প্রকাশের কিছু মন্তব্য ভেসে ওঠে সংবাদমাধ্যমে। সে মন্তব্যে অত্যন্ত অসন্তুষ্ট হন শোভন। তিনি রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষকে ফোন করে জয়প্রকাশ মজুদারের নামে অভিযোগ করেন। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফে বাংলার দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী পর্যবেক্ষক অরবিন্দ মেননের কাছেও অভিযোগ জানান।