পুজো মানেই বাঙালিদের কাছে উৎসবের মরসুম। আর পুজো উপলক্ষে সরকারি কর্মচারীদের থাকে লম্বা ছুটি। আর সরকারি কর্মচারীরা এই ছুটিতেই বেরিয়ে পড়েন। ভ্রমণের নেশায় ছুটে বেড়ায় তাঁরা। আর এই ভ্রমণের অনেকটা অর্থই আসে সরকারের খাত থেকে। কিন্তু এবার কর্মীদের সতর্ক করল নবান্ন। বেড়াতে যাওয়ার খরচে লাগাম টানল রাজ্য সরকার।
সব ধরনের অস্বচ্ছতা কাটাতে নয়া নির্দেশিকা জারি করেছে নবান্ন। যেখানে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে, লিভ ট্রাভেল কনসেশন অর্থাৎ এলটিসির ক্ষেত্রে শুধুমাত্র যাতায়াতের ভাড়াই দেবে রাজ্য। এই নতুন নিয়মে কি কি বলা আছে? চারবছর অন্তর দেশের মধ্যে অথবা বিদেশে একবার করে ঘুরতে যাওয়ার জন্য সরকারি কর্মীদের অর্থ দেয় রাজ্য। নিয়ম অনুযায়ী, ট্রেন, বাস বা বিমানে যাতায়াতের খরচ দেবে সরকার। বাকি খরচ কিছু দেওয়া হবে না। কিন্তু অদ্ভুতভাবে অর্থ দপ্তর জানতে পারে, বিপুল পরিমাণ টাকা চলে যাচ্ছে এলটিসিতে। আসলে প্যাকেজ ট্যুরের যাবতীয় খরচের বিল কর্মচারীরা জমা দেয় সরকারকে। যার মধ্যে থাকে হোটেল ভাড়া থেকে খাওয়ার খরচ, সবই। আর এই কারণেই খরচে লাগাম টানার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
এদিন নবান্নর তরফে জানানো হয়, কোনও প্যাকেজ ট্যুরের বিল দেওয়া হলেও শুধু যাতায়াত ভাড়াই দেওয়া হবে। সেক্ষেত্রে টিকিট কাটতে হবে কেবল কাউন্টার বা ওয়েবসাইট থেকে। কর্মীদের বিলের সঙ্গে সেই টিকিটও জমা দিতে হবে। ট্রাভেল এজেন্সি মারফত টিকিট কাটলে টাকা পাওয়া যাবে না। এছাড়া ছুটিতে থাকাকালীন ভ্রমণে ট্রেন বা বিমানের টিকিটে ছাড়ের ক্ষেত্রেও নির্দিষ্ট কিছু গাইডলাইন দেওয়া হয়েছে। অর্থ দপ্তরের হাতে এমন বেশ কয়েকটি বিল এসে পৌঁছেছিল, যেখানে প্যাকেজ ট্যুরের সবটা যুক্ত করা হয়েছিল। সেই কারণেই জারি হল নয়া নির্দেশিকা। রাজ্যের অর্থ ভান্ডারের ওপর নজর রেখেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। এমনই মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল।