দুর্গাপুজো মানেই বাঙালিদের কাছে আবেগ। ঘর ছাড়া বাঙালিদের মধ্যেও সেই আবেগের বন্যা প্লাবিত হয়। তাই দেশের বাইরে থাকা বাঙালিরা বিদেশের মাটিতেই উৎসবে মেতে ওঠেন তাঁরা।এই রকম একটি শহর দক্ষিণ জার্মানির সমৃদ্ধ বাভারিয়া রাজ্যের রাজধানী মিউনিখ। ২০১৪ সালে সম্প্রীতি মিউনিখের পথ চলা শুরু বিজয়া সম্মিলনী দিয়ে।
ইসার নদীর তীরে অবস্থিত, পাগলা রাজা লুডউইগ ও ফুটবল সম্রাট কায়সার ফ্রানজ বেকেনবাওয়ারের জন্মস্থান এই ইতিহাস সমৃদ্ধ প্রাচীন শহর বহু শতাব্দী ধরে বহু উল্লেখযোগ্য ঘটনার সাক্ষী। এই শহরের গর্ব যেমন ফুটবল, বেদনা ১৯৭৬ সালের অলিম্পিক হত্যাকাণ্ড, তেমনই কুখ্যাত গত শতাব্দীর প্রথমার্ধে এক অন্ধকারাচ্ছন্ন রাজনৈতিক উত্থান।
এই সব নিয়েই মিউনিখ, আর মিউনিখ নিয়ে কিছু ঘর বাঙালি। বিদেশে বাঙালিয়ানা খাোঁজার চেষ্টায় যাদের যৌথ প্রয়াস – সম্প্রীতি মিউনিখ – একটি ক্রমর্বধমান যৌথ পরিবার। তারপর ইসার দিয়ে বয়ে গেছে অনেক জল। রূপায়িত হয়েছে বহু সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এসেছেন সাহানা বাজপায়ী, সৌরেন্দ্র, সৌম্যজিৎ। হয়েছে দারুণ সব ছোটদের অনুষ্ঠান, পিকনিক, বসন্তোৎসব।
এমনকী ২০১৮ সাল থেকে সরস্বতী পুজোও। বাকি রয়ে গেছে খালি বাঙালির সেরা পার্বণ – শারদোৎসব! “চার বছর হয়ে গেল অ্যাসোসিয়েশন চলছে, মিউনিখের একমাত্র ভারতীয় বাঙালি সংগঠন, বচ্ছর বচ্ছর নিয়ম করে বৈশাখী আর দীপাবলীর অনুষ্ঠান করছি, শুকনো বিজয়া সম্মিলনীতে করে আর ভাল্লাগছে না, চলো না শুরু করি।” এমনই কথা ঘুরে বেড়ায় ওখানকার মানুষের মনে। আর এই সম্মিলিত মনের ডাকেই শুরু হল পরিকল্পনা। ২০১৯এ সম্প্রীতির পাঁচ বছরের জন্মদিন – আর পাঁচে পা দিয়েই হবে সম্প্রীতির নতুন যাত্রা শুরু – শারদ সম্প্রীতি!
প্রথম পুজো, বহু অজানা অনুচ্ছেদ – অনুষ্ঠান ভবন নির্বাচন, ঠাকুরের বায়না,কলকাতার পুরোহিতের আসার ব্যবস্থা, ফুল কোথা থেকে আসবে, কলাগাছ কোথা থেকে পাওয়া যাবে, যজ্ঞ কিভাবে হবে, সে বহু অনুত্তরিত প্রশ্ন। সব নিয়েই মাতোয়ারা মিউনিখবাসী।