দুর্নীতির অভিযোগ সবসময়েই লেগে থাকে গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে। এবার একশো দিনের কাজের টাকা তছরুপের অভিযোগ উঠল এক বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জের ভাগডুমুর এলাকায়।
রায়গঞ্জের ১২ নম্বর বরুয়া গ্রামপঞ্চায়েতটি বিজেপি পরিচালিত। ১০০ দিনের কাজে ভাগডুমুর এলাকার একটি বিদ্যালয়ের মাঠে মাটি ভরাটের কাজ করেছিলেন বিজেপি পঞ্চায়েত সদস্য পুতন বর্মন। ৫ লক্ষ টাকার কাজ শেষ করার পর সেই কাজের হিসেব-সহ একটি ফলকও লাগানো হয়েছিল স্কুলের মাঠে। অভিযোগ, দুদিন আগে রাতের অন্ধকারে সেই ফলক উঠিয়ে দিয়ে নতুন একটি ফলক লাগানো হয়। যেখানে মাত্র ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকার হিসেব দেওয়া আছে। পুরানো ফলকটি এলাকা থেকে ২০০ মিটার দূরে একটি পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়েছে। আরও অভিযোগ, একশো দিনের কাজে শ্রমিকদের মজুরিও দেওয়া হয়নি।
এই ঘটনার কথা জানাজানি হতেই বিজেপি পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বিক্ষোভে সামিল হন গ্রামবাসীরা। সুত্রের খবর, মারধর করা হয় বিজেপির যুব মোর্চার জেলা সহ-সভাপতি দেবাশিস মোদককে। ভাঙচুর করা হয় তাঁর মোটরবাইকও। নিজের বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ সম্পূর্ণ এড়িয়ে গেছেন ওই গেরুয়া নেতা।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, মাটি ভরাটের কাজে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। বিজেপি পঞ্চায়েত সদস্য ও তাঁর অনুগামীরা এই দুর্নীতিতে জড়িত। যদিও অভিযুক্ত বিজেপি পঞ্চায়েত সদস্য পুতন বর্মন জানিয়েছেন, অনেকদিন আগে এই কাজ হয়ে গিয়েছে। তাই ফলকটির আর প্রয়োজন নেই মনে করে তিনি সেটি উঠিয়ে নিয়েছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে যে দুর্নীতির অভিযোগ তোলা হয়েছে, তা ভিত্তিহীন। তবে দায় এড়িয়ে গেলেও তাঁর কথায় চিঁড়ে ভেজেনি। এলাকার বাসিন্দারা প্রত্যেকে বলেছেন ১০০ দিনের কাজে ব্যাপক হারে দুর্নীতি করেছে বিজেপি।