আজ শিক্ষক দিবস। ছোট থেকে প্রতিটা মুহূর্ত যারা কিছু না কিছু শিখিয়ে চলেন আজ তাঁদের সম্মান জানানোর দিন। তবে সম্মান জানাতে শুধু এই একতা দিনের প্রয়োজন হয় কিনা, আজ বরং সেই বিতর্ক থাক। আজকের দিনটা উদযাপিত হোক আজকের নিজস্ব সুরে। যাঁদের হাত ধরে জীবনের শিক্ষাটা শুরু হয় সেই মা-বাবার উদ্দেশ্যে সমর্পিত হোক একটা গোট দিন।
আদতে আমরা প্রত্যেকে শিক্ষানবীশ। প্রতিটা দিনই আমরা কিছু না কিছু শিখে চলি। ওই যে কথায় বলে না, “জানার কোনও শেষ নাই, জানার চেষ্টা বৃথা তাই”। তাই জীবনের দৌড়ে আমরা রোজই শিখি। আর সব থেকে বেশি শেখায় মা-বাবা। ঠিক-ভুল, উচিৎ-অনুচিত মূল্যবোধ ইত্যাদি যাবতীয় শিক্ষার পাঠ তো তারাই দেন।
প্রত্যেকটা মানুষের জীবনে বোধহয় তাঁর মা-বাবাই তাঁর কাছে সবথেকে প্রিয় শিক্ষক। তাঁদের স্নেহে, প্রশ্রয়ে, শিক্ষায়, সহমর্মিতায়, মরমী সমালোচনায়, চরিত্র গঠনের দৃঢ় শিক্ষায় আমরা ঋদ্ধ হই রোজ। আমাদের প্রতিটি আচরণের বহির্প্রকাশ ঠিক কী হবে, শিশুবয়স থেকেই উচিত-অনুচিতের বোধ আমরা শিখতে থাকি তাদের কাছেই।
পুঁথিগত বিদ্যায় শিক্ষিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জীবনের জন্যে প্রয়োজনীয় যে শিক্ষা গুলো সেগুলো আমরা মা-বাবার ছত্রছায়াতে এসেই শিখি। প্রতিটা ভুলের পরে যে ঠিকের রাস্তা থাকে সেই বোধও আমাদের মধ্যে তৈরি করে দেয় মা-বাবাই। বাবা যেমন শেখায় কষ্ট, সহিষ্ণুতার শিক্ষা, মা শেখায় সবকিছু নিয়ে চলতে। তাই জীবনের পরম গুরুর জন্যে আজকের দিনে থাক অশেষ শ্রদ্ধা।
গোটা জীবন ধরে মা-বাবারা যা কিছু শিখিয়ে যান তার জন্যে অকুণ্ঠ কৃতজ্ঞতা থাক তাঁদের জন্যেই। আমাদের নিজস্ব পছন্দ-অপছন্দ, আমাদের দায়বদ্ধতা, বিশ্বাস, অন্যকে মাণ্যতা দেওয়া, গুরুজনকে সম্মান জানানো, নিজেদের পারিবারিক রীতিকে মর্যাদা দেওয়া, রক্ষণশীলতাকে টিকিয়ে রাখা এই সমস্ত কিছুই শিক্ষা পেয়ে থাকি বাড়ির গুরুজন বা অভিভাবকদের থেকেই। আমাদের আদর্শ আমাদের চরিত্রগঠন সব কিছুর প্রাপ্তি তাঁদের থেকেই। শিক্ষকদিবসের গুরুত্ব বলতে বাবা-মা-কেই অন্যতম প্রারম্ভিক শিক্ষক তথা গুরু হিসেবে স্মরণ করে জ্ঞাপন হোক অশেষ শ্রদ্ধা। এভাবেই তাঁদের জ্ঞান-শিক্ষার আলোতে আমরা যেন সমৃদ্ধ হতে থাকি আজীবন।