তুমুল বৃষ্টির জেরে খেলা শুরু হয় নির্ধারিত সময়ের ৩০ মিনিট পর। খেলা শুরু হলেও ইস্টবেঙ্গল মাঠ যে একেবারেই খেলার উপযুক্ত ছিল না, তা বারবার শোনা যাচ্ছিল গ্যালারিতে থাকা সমর্থকদের মুখে। তবুও সেই খেলার অযোগ্য মাঠেই খেলতে নামে দুই দল। আর এই মাঠে খেলে ২-১ গোলে ম্যাচ জিতে নেয় আলেহান্দ্রোর ছেলেরা।
বিপক্ষ টিমের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর ছিলেন গত প্রায় এক দশকের মিডফিল্ড জেনারেল মেহতাব হোসেন। প্রতিপক্ষের মাঝ মাঠে ছিলেন ইস্টবেঙ্গলের আর এক প্রাক্তনী মাহমুদ আল আমনা। এদিন ম্যাচের সেরা হলেন তিনিই। ইস্টবেঙ্গলের হয়ে এদিনও গোল করলেন সেই বিদ্যাসাগর সিং এবং হাইমে স্যান্টোস কোলাডো। পরে দ্বিতীয়ার্ধে সাদার্নের হয়ে ব্যবধান কমালেন অর্জুন টুডু।
৩১ মিনিটে ডানদিক থেকে আসা সেন্টারে কোলাডোর ফ্লিক থেকে হেড করে ইস্টবেঙ্গলকে এগিয়ে দেন ইস্টবেঙ্গল অ্যাকাডেমীর ফসল বিদ্যাসাগর সিং। এরপর সাদার্নও আক্রমণ শানাতে থাকে লাল-হলুদ বক্সে। কিন্তু ইস্টবেঙ্গল রক্ষণে এ দিন অসাধারণ খেললেন ঘরোয়া লিগে প্রথম নামা বোরহা গোমেজ।
১ গোলে এগিয়ে থেকেই লকার রুমে যায় আলেহান্দ্রো মেনেন্ডেজের দল। ৬১ মিনিটে ডিডিকার কর্ণার থেকে দুরন্ত হেডে ফের গোল করেন ২-০ করেন কোলাডো। তারপরেই নতুন আসা বিদেশি হুয়ান গঞ্জালেসকে মাঠে নামান লাল-হলুদ কোচ। কোলাডোর পরিবর্তে মাঠে আসেন তিনি। বাঁ পায়ে একটি গোলার মতো দূরপাল্লার শট নেন নেমেই। শিকারি বাঘের মতো সুযোগ খুঁজছিলেন গোলের। কিন্তু রক্তের স্বাদ পাওয়া হল না তাঁর। শেষপর্যন্ত ২-১ গোলেই ম্যাচ জিতে নেন লাল-হলুদ ব্রিগেড।