সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণণ ভারতীয় দার্শনিক এবং রাজনীতিবিদ। যিনি ভারতের প্রথম উপরাষ্ট্রপতি এবং ভারতের দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। আজ তার জন্মদিন এবং এই দিনটি ‘শিক্ষক দিবস’ হিসেবে পালিত হয়।
তুলনামূলক পাশ্চাত্য দর্শনে তাঁর কাজের জন্য বিখ্যাত ছিলেন এবং ভারতে এবং যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়েও শিক্ষক ছিলেন। তিনি একজন রাষ্ট্রনায়কও ছিলেন এবং ভারতের রাষ্ট্রপতি হিসাবেও দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
তার যার কীর্তিতে ভারতবাসীর মান বেড়েছে, যিনি বলেছিলেন, “একজন যোগ্য শিক্ষক আমাদের সাহায্য করেন আমাদেরকে চিনতে”। তাই এবার একটু ভাববার বিষয়, কারণ…
এই ঘটনার কথা জেনে রাখা উচিত, যে দুই খন্ডের ‘ইন্ডিয়ান ফিলজফি’ গ্রন্থের জন্য রাধাকৃষ্ণণের প্রসিদ্ধি, আদতে তা তার লেখাই না, এমন অভিযোগ আছে। শোনা যায়, সেটি নাকি লিখেছিলেন যদুনাথ সিং। ১৯১৭ সালে যদুনাথ এমএ পাশ করার পর তার গবেষণা পত্রের প্রথম খন্ড ও দ্বিতীয় খন্ড কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে জমা করেন। শোনা যায়, সেখান থেকেই নকল করে রাধাকৃষ্ণণ ১৯২৭ সালে লন্ডন থেকে নিজের নামে প্রকাশ করেন।
প্রকাশের বেশ কিছু দিন পর যদুনাথের নজরে আসে। এবং ১৯২৯ সালে ২২ আগস্ট কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন। অনেক দিন মামলা চলার পর ‘আউট অফ কোর্ট সেটেলমেন্ট’ করেন। যদুনাথকে এই বিষয়ে নানা ভাবে সাহায্য করেন, ‘প্রবাসী’ ও ‘মর্ডান রিভিউ’ পত্রিকার সম্পাদক রামানন্দ চট্টোপাধ্যায়। অনেকে বলেন, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় যদুনাথের উপর চাপ সৃষ্টি করেন। যাতে তিনি মামলা প্রত্যাহার করে নেন। এই সমস্তটাই একটি বিতর্কিত বিষয়। যা হয়তো অনেকের অজানা।