বেসরকারি বিনিয়োগ বাড়াতে মোদী সরকারের বাজেটে যেমন তেমন কোনও উদ্যোগ চোখে পড়েনি। ঠিক তেমনই চাহিদার মানোন্নয়নেও কোনও ইতিবাচক পদক্ষেপ নিতে পারেনি কেন্দ্র। মূলত দুই কারণেই কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে ভারতের শিল্প সংস্থাগুলোকে। তলানিতে পৌঁছেছে পরিকাঠামো বৃদ্ধিও। সবমিলিয়ে তীব্র মন্দার জেরে প্রত্যাশা মতো কর আদায় না হওয়ায় আর্থিক ঘাটতির ক্ষেত্রে লক্ষ্যভ্রষ্ট হতে চলেছে কেন্দ্র। ৫ সরকারি আধিকারিক ও উপদেষ্টাকে উদ্ধৃত করে এমনই জানিয়েছে সংবাদসংস্থা রয়টার্স। এক্ষেত্রে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক থেকে পাওয়া অতিরিক্ত ডিভিডেন্টও মোদী সরকারকে স্বস্তি দিতে পারবে না বলে মনে করা হচ্ছে।
গত এপ্রিল-জুল ত্রৈমাসিকে আর্থিক বৃদ্ধির হার কমে দাঁড়িয়েছে ৫ শতাংশ। গত ৬ বছরের মধ্যে এই বৃদ্ধির হার সর্বনিম্ন। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আর্থনীতিকে উজ্জীবিত করতে কেন্দ্রীয় পদক্ষেপের দাবি উঠছে। আর গোটা পরিস্থিতি প্রভাব ফেলতে পারে আর্থির ঘাটতির লক্ষ্যমাত্রার উপরে। চলতি বছরে আর্থিক ঘাটতির হার জিডিপির ৩.৩ শতাংশে বেঁধে রাখার টার্গেট রেখেছিল সরকার। কিন্তু ২০১৯ সালের শেষ নাগাদ সরকার সেই লক্ষ্যমাত্রা বৃদ্ধি করে ৩.৫ শতাংশ করতে পারে বলে মনে করছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অর্থ মন্ত্রকের একাধিক আধিকারিক। এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলেও কোনও উত্তর দেননি অর্থ মন্ত্রকের মুখপাত্র।
উল্লেখ্য, এ বছর কর বাবদ ৩৪৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু লক্ষ্যমাত্রার থেকে ৪ শতাংশ বা ১৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার কম অর্থ সরকারের ঘরে ঢুকতে পারে বলে কেন্দ্রের দুই শীর্ষ আধিকারিক আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। জিএসটি এবং আয়কর উভয় ক্ষেত্রেই টার্গেটের থেকে কম রাজস্ব সরকারি কোষাগারে ঢুকবে বলে তাঁদের অনুমান। অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় সরকারকে ১,৭৬,০৫১ কোটি টাকার অর্থ সাহায্য দেবে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। ইকনমিক ক্যাপিটাল ফ্রেমওয়ার্ক পর্যালোচনার পর ২০১৮-১৯ অর্থবছরের উদ্বৃত্ত হিসেবে ১,২৩,৪১৪ কোটি টাকা এবং অতিরিক্ত খাতে আরও ৫২,৬৩৭ কোটি টাকা দেওয়ার কথা জানিয়েছে তারা। কিন্তু এই উদ্বৃত্ত অর্থ আদৌ কি স্বস্তি দিতে পারবে কেন্দ্রকে? উঠছে প্রশ্ন।