পুজোয় দূর দূরান্ত থেকে লক্ষ লক্ষ মানুষ ঠাকুর দেখতে আসেন। তাঁরা এক একটা প্যান্ডেলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়ান। সেখানে ভিআইপি গেট থাকলে সবারই খারাপ লাগে। ভোগান্তি পোহাতে হয়। তাই পুজোয় এবার ভিআইপি কার্ড নয়। নেতাজি ইন্ডোরে পুজো কমিটিগুলির সঙ্গে বৈঠকেই এ কথা জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে বেশ কিছু ক্লাব তাঁর কাছে ভিআইপি কার্ডের বদলে অন্য কিছু করার অনুরোধ জানিয়েছিল। বুধবার বিধানসভায় নিজের ঘরে বসে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ক্লাব থেকে বিশেষ আমন্ত্রণ জানানো হবে। এটা সবই ক্লাবের উদ্যোগে হবে। বিশেষ আমন্ত্রণ পাবেন প্রবীণ নাগরিক, প্রতিবন্ধী ও এলাকার মানুষ।’ মুখ্যমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তর কথা জানার পরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ধন্য ধন্য পড়ে গেছে।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে পুজো কমিটিগুলোর সঙ্গে বৈঠকে পুজো কমিটিগুলির অনুদান বাড়িয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। ভিআইপি কার্ড এবার করা যাবে না বলেও ক্লাবগুলিকে নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, ‘পুজো প্রাঙ্গণে ভিআইপিদের জন্য আলাদা করে ঠাকুর দেখার ব্যবস্থা, আলাদা গেট এসব বন্ধ করুন। আমরা সবাই এলআইপি (লেস ইমপর্ট্যান্ট পার্সন), কেউ ভিআইপি নই। আমি নিজে এয়ারপোর্টে সাধারণ লাইনে দাঁড়াই। ভিআইপি লাইন এড়িয়ে চলি। ভিআইপিদের বলব, চতুর্থীর পর থেকে যেন দয়া করে লালবাতি লাগানো গাড়ি চেপে হর্ন বাজিয়ে প্যান্ডেলে না আসেন।’ এরপরই ‘দিদিকে বলো’ ফেসবুক পেজটিতে একটি কার্টুন পোস্ট করা হয়েছে। দেখা যাচ্ছে, অনেকেই মুখ্যমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানাচ্ছেন।
লেখা হয়েছে, দিদির রাজ্যে আমরা সবাই ভিআইপি। এর পাশাপাশি এ-ও লেখা হয়েছে, দুর্গাপুজো প্রতিটি বাঙালির হৃদয়ের কাছাকাছি, সে তারা যে ধর্মেরই হোক না কেন, এই উৎসবকে বাংলার মানুষের কাছে আরও বিশেষ করে তোলার জন্য বছরের পর বছর ধরে দিদি বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছেন। উল্লেখ্য, দুর্গাপুজোয় আর মাত্র ৩০ দিন বাকি। প্রত্যেক বছরের মতো এবারও মহালয়ার আগে থেকেই মুখ্যমন্ত্রী পুজো উদ্বোধন শুরু করে দেবেন। গতবার প্রায় ১০০র বেশি প্রতিমার উদ্বোধন করেছিলেন তিনি। বহু জায়গা থেকে তাঁর কাছে উদ্বোধন করার জন্য অনুরোধ আসছে। এরই মধ্যে ২৪, ২৫ সেপ্টেম্বর তিনি মেদিনীপুরে থাকবেন। যাবেন বীরসিংহ গ্রামে। সেখানে বিদ্যাসাগরের ২০০তম জন্মবর্ষ উপলক্ষে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করবেন। ফিরে এসে পুজোর উদ্বোধন শুরু করে দেবেন।