বর্তমান সময়ে মানুষ যখন মানুষকে সাহায্য করতে ভুলে যাচ্ছে ঠিক সেই সময়ে এক অনন্য নজির গড়েছেন অতীন্দ্র চক্রবর্তী। তাঁর হাত ধরেই ধুলো মাখা রাজপথ থেকে স্বপ্নের দুনিয়াতে উড়ান ঘটেছে রানাঘাটের রাণু মণ্ডলের। এবার সেই অতীন্দ্রই আরও একটি প্রতিভাবান সঙ্গিতশিল্পীকে তুলে ধরলেন জনসমক্ষে। নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে সুরজিত নামে এক যুবকের গান। সুরজিতের গানের গলাও অসাধারণ৷ তাই অনেকেই তাঁর গান শুনে বলছেন এবার কি তাহলে রানুর পর অতীন্দ্রর দ্বিতীয় আবিষ্কার সুরজিত, যদিও বিষয়টি নিয়ে এখনও সেভাবে শোরগোল পড়েনি সামাজিক মাধ্যমে কিন্তু বিল্পব সৃষ্টি করা অতীন্দ্র এখন প্রতিভাবানদেরই খোঁজার চেষ্টায় সামিল হয়েছেন৷
একটি মঞ্চ থেকেই সকলকে ভালো প্রতিভা তুলে ধরার বার্তা দিয়েছিলেন৷ তাই নিজেও প্রতিভাবানদের জায়গা করে দেওয়ার জন্য সামাজিক মাধ্যমে একটি পেজ খুলেছেন৷ আগামী দিনে এই কাজ করে যাবেন বলেও প্রতিশ্রুতি বদ্ধ হয়েছেন তিনি৷ উল্লেখ্য, নেহাতই ভালোলাগার বশে এবং সকলকে জানাতেই রানু মন্ডলের গান ভিডিও করেছিলেন অতীন্দ্র৷ কিন্তু তারপর সেই গান যে রাতারাতি সাড়া ফেলে দেবে তা বুঝতে পারেননি তিনি৷ তবে রানু মন্ডলের এই সাফল্যে যথেষ্টই খুশি অতীন্দ্র৷ তাই নিজের কেরিয়ারের তোয়াক্কা না করেই রানু মন্ডলকে নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় যেতে দেখা গিয়েছে তাঁকে৷
‘সোশ্যাল ওয়ার্কার অতীন্দ্র’ নামে নিজের ওই পেজে তিনি লিখেছেন, “এই পেজটি সম্পূর্ণ ভাবে খোলা হয়েছে সামাজিক ভাবে পিছিয়ে পরা মানুষদের জন্য ,যাদের মধ্যে প্রতিভা আছে কিন্তু সেই প্রতিভার বিকাশের জন্য কোনো মাধ্যম নেয়, তাদের জন্য এই পেজটি, আপনারা এই পেজটির মাধ্যমে আপনার প্রতিভাকে প্রকাশ করুন !’
ইঞ্জিনিয়ারের ব্যস্ত জীবনেও স্টেশনে একদিন নেহাতই আড্ডা মারার ছলে তাঁর মন ছুঁয়েছিল এক ভবঘুরে ভিখারির গান৷ তাই দেরি না করে সেই গান ক্যামেরাবন্দি করে সামাজিক মাধ্যমে আপলোড করে দিয়েছিলেন৷ শুধু আপলোড করাই নয় রানাঘাটের সেই রানু মন্ডলকে জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌঁছে দিতে সমস্ত রকম পদক্ষেপ গ্রহণ করে চলেছেন তিনি৷ পাশাপাশি রাস্তাঘাটে থাকা প্রতিভাদের সমাজে তুলে ধরার বার্তাও দিয়েছেন৷ রাঘাট স্টেশন থেকে তিনিই আবিষ্কার করেছিলেন তেরি মেরি কাহানির শিল্পী রানু মন্ডলকে৷ তারপর তাঁর ভাগ্যের মোড় ফিরিয়ে দিয়ে জীবনে আমূল পরিবর্তণ ঘটিয়েছেন৷ তারপর থেকে সর্বদা রানু মন্ডলের পাশে রয়েছেন সমাজসেব অতীন্দ্র চক্রবর্তী৷