কোমরের সে জোর আর নেই সিপিএমের। ফলে একা লড়ার ক্ষমতাও নেই। তাই বলে কংগ্রেস নেতা-কর্মীদের সঙ্গে গা ঘেঁষাঘেঁষি করার এমন উদগ্র বাসনা! বিধানসভায় দেখা গেল তেমনই এক ছবি। কংগ্রেসের হাতে হাত রাখতে পেরে গর্বিত হলেন ‘কমরেড’ সুজন চক্রবর্তী। মুখ ফুটে বললেনও সে কথা, ‘দিল্লিতে কংগ্রেস বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করছে, এটা আমাদের গর্ব’।
বিধানসভায় অধীর চৌধুরিকে সংবর্ধনা দেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র ও বিধানসভার বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান। ওই অনুষ্ঠানে ছিলেন সিপিএম বিধায়ক সুজন চক্রবর্তীও। রাজ্যে বামেদের সঙ্গে জোটে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছেন সোনিয়া গান্ধী। আলিমুদ্দিনও ইতিবাচক। এরপর থেকেই কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে গলাগলি বেড়েছে বামেদের। অনুষ্ঠানেও গলা বাড়িয়ে জোটের পক্ষে সওয়াল করে সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘দিল্লীতে ও রাজ্যের সরকারের বিরুদ্ধে বাস্তব কারণে আমরা একসঙ্গে চলছি। আজ গর্বিত লাগছে। নেহরুর নেতৃত্বে ধর্মনিরপেক্ষ ভারত এগিয়ে চলেছিল। আজ তার সর্বনাশ করা হচ্ছে। দিল্লিতে যারা তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে, এটা আমাদের গর্ব। লড়াই জোরদার ও তেজি হবে। বাংলায় আমরা লড়াইয়ে থাকব। অধীরবাবুর লড়াই আমাদের শক্তি দেবে’।
এখানেই থামেননি সুজন। দলের উপর থেকে নীচুতলা, এককথায় সর্বত্র এই ‘আত্মীয়তা’ ছড়িয়ে দেবার পক্ষেও সওয়াল করেছেন তিনি। সুজন বলেন, ‘বাম-কংগ্রেস একাত্মবোধ উঁচুতলায় না নিচুতলাতেও করতে হবে। আগামীদিনে ভারতের রাজনীতিতে নিজেদের এগিয়ে নিয়ে যাওয়া কঠিন হচ্ছে। শ্বাস রোধের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এখন চলছে প্রতিহিংসার রাজনীতি। চিদম্বরমের কী হল’? তবে কংগ্রেসের সঙ্গে সুজনের এই মাখামাখিকে ভালো ভাবে নিচ্ছে না দলেরই একাংশ। তাঁদের কথায়, সবে উপনির্বাচনে জোট হয়েছে। বিধানসভা বাকি। এখনই এত গা ঘেঁষাঘেঁষির কোনও দরকার নেই’।