বিজেপি নেতা-মন্ত্রীদের মিথ্যে কথার ফুলঝুরি শোনা গেছে আগেও। বিতর্কিত মন্তব্যেও তাঁদের জুড়ি মেলা ভার। এবার ফের ভিত্তিহীন এক দাবি করেছেন অরুণাচলের বিজেপি সাংসদ। জানা গেছে, তাপির গাও নামের একজন সাংসদ সম্প্রতি বলেছিলেন, গত মাসে চিনা সৈনিকরা ভারতে ঢুকে পড়েছে। চাগলাগাম সার্কেলে কিওমরু নালার ওপরে একটি সেতুও বানিয়ে ফেলেছে তাঁরা।
কিন্তু বুধবার সেনাবাহিনী বিবৃতি দিয়ে জানাল, এর মধ্যে চিনা ফৌজ ভারতে প্রবেশ করেনি। অরুণাচলের আনজু জেলায় একটি নালার ওপরে তাঁরা ব্রিজ বানিয়ে ফেলেছে বলে যে দাবি করা হয়েছে, তার কোনও ভিত্তি নেই। সেনাবাহিনী বিবৃতিতে স্পষ্ট বলেছে, কোনও অনুপ্রবেশ ঘটেনি। কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমে বলা হয়েছে, ‘ফিশ টেল’ অঞ্চলে নাকি চিনের মিলিটারি ঢুকে পড়েছে। আসলে ওই অঞ্চলে দুই দেশের সীমারেখা নিয়ে অনেকেরই স্পষ্ট ধারণা নেই।
বিজেপির এমপি ভারতে চিনা সৈনিকদের ঢুকে পড়ার কথা বলায় সেনাবাহিনী সীমান্তে একটি টহলদার বাহিনী পাঠিয়েছিল। যেখানে চিনারা সেতু বানিয়েছে বলে রটে গিয়েছিল, সেখানেও গিয়েছে সেই টহলদার বাহিনী। কিন্তু তাঁরা এমন কোনও সেতু দেখতে পায়নি। এরপর সেনা সূত্রে বলা হয়েছে, যে নালার ওপরে চিনারা সেতু বানিয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে, সেটির নাম ডিমারু। কিন্তু সেখানে গিয়ে কোনও সেতু দেখা যায়নি। বিজেপি এমপি তাপির গাও বলেন, গত মঙ্গলবার স্থানীয় কয়েকজন যুবক ওই নালার ওপরে একটি কাঠের সেতু দেখেছে। সেই এলাকা চাগলাগাম থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে। জায়গাটি অবশ্যই ভারতের সীমার মধ্যে সেই জায়গা অবস্থিত।
বিজেপি এমপি যে জায়গায় চিনাদের অনুপ্রবেশের কথা বলছেন, তা অরুণাচলের পূর্বে ভারত-চিন-মায়ানমার সীমান্তে অবস্থিত। সেই অঞ্চলের সীমান্ত নিয়ে চিনের সঙ্গে ভারতের মতবিরোধ আছে। সেনাবাহিনী বলেছে, ওই অঞ্চল ঘন ঝোপঝাড়ে ঢাকা। সেখানে শুধুমাত্র পায়ে হেঁটে যাওয়া যায়। অনেকগুলি নালা ও ঝর্ণা পেরোতে হয়। বর্ষায় নালাগুলি ফুলেফেঁপে ওঠে। তখন পায়ে হেঁটে নালা পেরোন যায় না। তার ওপর অস্থায়ী সেতু নির্মাণ করতে হয়।