সাফল্য ও ব্যর্থতা আসে হাত ধরাধরি করে। সেই নিয়েই মানুষের উত্থান-পতন। এইবার উয়েফার বর্ষসেরা ফুটবলার হতে পারেননি ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। শেষ ল্যাপে তাঁকে পিছনে ফেলেছিলেন লিভারপুলের ডাচ ডিফেন্ডার ভার্জিল ফন ডিক। তবে সেই ব্যর্থতায় সাময়িক হতাশা অচিরেই কাটিয়ে উঠলেন তিনি। এই নিয়ে ভেঙে পড়ার কারণ দেখছেন না বিশ্বের অন্যতম ফুটবলার।
মঙ্গলবার লিসবনে আয়োজিক এক বর্ণময় অনুষ্ঠানে তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হল বর্ষসেরা পোর্তুগিজ ফুটবলারের সম্মান। এর আগে ন’বার এই খেতাব পেয়েছিলেন সিআরসেভেন। এবার তাঁর সঙ্গে দৌড়ে ছিলেন ম্যাঞ্চেস্টার সিটির বার্নাডো সিলভা, আতলেতিকো মাদ্রিদের হোয়াও ফেলিক্স, উলভারহ্যাম্পটনের রুবেন নাভাস ও স্পোর্টিং সিপি’র ব্রুনো ফার্নান্ডেজ। খেতাব পাওয়ার পর রোনাল্ডো বলেন, ‘এই বিশ্ব দুরন্ত গতিতে চলছে। যেখানে থামার বিন্দুমাত্র অবকাশ নেই। গত মরশুম ভালোমন্দ মিশিয়েই কেটেছে। যে কোনও সম্মান ভালো খেলার খিদে বাড়িয়ে দেয়। বুঝতে পারি, অনুরাগীদের প্রত্যাশা পূরণে আমায় আরও সচেষ্ট হতে হবে।’
২০১৮-১৯ মরশুমে জুভেন্তাসের হয়ে সিরি-এ খেতাব পেলেও উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের স্বাদ থেকে বঞ্চিত থেকেছেন রোনাল্ডো। এই প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তাঁর উত্তর, ‘চ্যাম্পিয়ন্স লিগ বিশ্বের কঠিনতম প্রতিযোগিতা। শুধু পারফরম্যান্স নয়, ইউরোপ সেরা হওয়ার জন্য কিছুটা হলেও ভাগ্যের সহায়তা প্রয়োজন। দুর্ভাগ্য, গত মরশুমে তা জুভেন্তাসের সঙ্গে ছিল না।’
দেশের সেরা ফুটবলারের সম্মান পাওয়ার দিন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোকে ভিডিও বার্তার মাধ্যমে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন কিংবদন্তি প্রশিক্ষক স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসন। তিনি বলেছেন, ‘পর্তুগালে এই সুন্দর রাতে খেতাব পাওয়ার জন্য আন্তরিক অভিনন্দন। অনুষ্ঠানে তোমার পাশে থাকতে না পারার জন্য দুঃখিত। মনে পড়ছে পুরানো দিনের কথা। ১৭ বছরের একটি চনমনে ছেলে ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডে এল। চোখের সামনে দেখলাম তার উত্থান। শুধুমাত্র ফুটবলার নয়, ব্যক্তি হিসেবেও তুমি নিজেকে অন্য উচ্চতায় পৌঁছেছো। এই দীর্ঘ পথ পরিক্রমার সাক্ষী থাকতে পেরে ভালো লাগছে। তোমার মা ও পরিবারের বাকিদেরও বলতে চাই, ওয়েল ডান।’ বলা বাহুল্য, প্রাক্তন কোচের এই শুভেচ্ছাবার্তায় আপ্লুত রোনাল্ডো।