ব্রিটেনের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন গত বছর এক সংবাদমাধ্যমে মুসলিম মহিলাদের নিয়ে আপত্তিকর কথা বলেছিলেন। সেই মন্তব্যের জন্য পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষমা চাইতে হবে, এমনটাই দাবি করলেন ব্রিটেনের প্রথম শিখ সাংসদ তনমনজিৎ সিং ধেসি।
গত বছর এক সংবাদপত্রে বরিস জনসন বলেছিলেন, “যদি তুমি বলো বোরখা দেখতে খারাপ লাগে, আমি তোমার সঙ্গে আছি। আমি আরও বলতে পারি এই ধরণের জামা-কাপড় পরে মানুষ কীভাবে ঘোরে যেখানে কাউকে লেটার বক্সের মতো দেখতে লাগে।” প্রধানমন্ত্রীর করা এই বক্তব্য নিয়েই এ দিন প্রতিবাদ করেন এই শিখ সাংসদ।
বুধবার হাউস অফ কমন্স-এ দাঁড়িয়ে ধেসি জানান, এই ধরণের মন্তব্য এই প্রথম নয়। তাঁকেও ছোটবেলায় অনেক কিছু শুনতে হয়েছে। তিনি বলেন, “যাদেরকে ছোটবেলা থেকেই পাগড়ি পরার জন্য টাওয়েলহেড কিংবা তালিবানের মতো মন্তব্য শুনতে হয়েছে, তারা যখন অন্যদের বিরুদ্ধে অপমানজনক কথা শোনেন, তখন তাদের কষ্টটা বুঝতে পারেন। একজন মুসলিম মহিলাকে বোরখা পরার জন্য যখন ডাকাত কিংবা লেটার বক্সের মতো কটূ কথা শুনতে হয়, সেটা খুবই খারাপ। একজন সভ্য ব্যক্তির কাছে এগুলো আশা করা যায় না।”
বরিস জনসনের কনজারভেটিভ পার্টির মধ্যে অনেকেরই এই ধরণের মানসিকতা আছে বলেই দাবি করেছেন ধেসি। সে ব্যাপারে নজর দেওয়ার জন্যও প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন করেছেন তিনি। ধেসি জানান, “তাহলে কখন সবার সামনে দাঁড়িয়ে নিজের করা বর্ণবিদ্বেষমূলক মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইবেন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন? কারণ এই ধরণের মন্তব্য সাধারণ মানুষের মনে ঘৃণা আরও বাড়িয়ে দেয়।”