অগণতান্ত্রিক ভাবে জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা রদ করেছে মোদী সরকার৷ তারপর থেকেই ফের অশান্ত কাশ্মীর৷ যদিও নিজেদের অবস্থান দৃঢ় করতে কেন্দ্র বারবার বলেছে শান্ত আছে উপত্যকা৷ এবার নিজেদের অবস্থান দৃঢ় করতে উপত্যকা থেকে বাড়তি বাহিণী প্রত্যাহার করতে চলেছে কেন্দ্র৷
মঙ্গলবার দিল্লীতে জম্মু-কাশ্মীরের পঞ্চায়েত প্রধান, পঞ্চায়েত সদস্য ও স্থানীয় মানুষদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি জানান, আগামী ১৫দিনের মধ্যে উপত্যকা থেকে বাড়তি বাহিনী প্রত্যাহার করে নিতে চায় কেন্দ্র। কারণ, কেন্দ্র মনে করছে বাড়তি বাহিনী সরালেই ধীরে ধীরে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরবে কাশ্মীর । শাসক শিবির জানিয়েছে, কাশ্মীরে যুবকদের চাকরির ব্যবস্থা করলেই কমতে থাকবে বিচ্ছিন্নতাবাদ ও সন্ত্রাসবাদ।
তবে শাহের কথায় ভেজেনি চিঁড়ে৷ যদিও পঞ্চায়েত প্রধান ও সদস্যরা এদিনও নিরাপত্তার অভাবের কথা জানান। বরং তারা উল্টো পথে হেঁটে নিরাপত্তা বাড়ানোর কথা বলেন। তারা জানান ৩৭০ রদের পর থেকে উপত্যকার অশান্তি কিভাবে বাড়ছে৷
কিন্তু এরই পাশাপাশি, আজ দিল্লি থেকে শ্রীনগরে ফিরেই ফের গৃহবন্দি হয়েছেন শহরের মেয়র জুনেইদ মাট্টু। ৫ অগস্ট তাঁকে গৃহবন্দি করা হয়েছিল। এর পর চিকিৎসার জন্য দিল্লি যেতে দেওয়া হয় তাঁকে। সেখানে গত কাল এক সাক্ষাৎকারে কাশ্মীরে ধরপাকড় এবং রাজনীতিকদের আটক করার নিন্দা করেন তিনি। বলেন, উপত্যকা স্বাভাবিক হওয়ার আশা অবাস্তব।
কেন্দ্র বাড়তি বাহিনী সরিয়ে উপত্যকায় ছন্দ ফেরানোর আশা করলেও সেখানকার পঞ্চায়েত প্রধান ও সদস্যরা কিন্তু নিরাপত্তার অভাবে ভুগছেন। আজ বৈঠকে তাঁদের বড় অংশই নিরাপত্তা বৃদ্ধির দাবি জানান। শ্রীনগরের জুবের বলেন, ‘‘প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে নির্বাচনে দাঁড়িয়েছি। আমার ও পরিবারের নিরাপত্তার দিকটিও সরকার দেখুক।’’ পঞ্চায়েত সদস্যদের উপরে হামলার যে আশঙ্কা রয়েছে, তা মেনে নেন শাহ। সূত্রের খবর, তাই আগামী দিনে তাঁদের নিরাপত্তারক্ষী দেওয়ার পাশাপাশি দু’লক্ষ টাকার জীবনবিমা করানোর ব্যাপারেও প্রাথমিক ভাবে রাজি হয়েছেন শাহ।
আগামী ৩১ অক্টোবর থেকে জম্মু-কাশ্মীর কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে। গান্ডেরবাল এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য নাজির আহমেদ-সহ অনেক নেতাই বলেন, ‘‘৩৭০ অনুচ্ছেদ রদের ফলে জমি হাতছাড়া হওয়ার আশঙ্কায় ভুগছেন উপত্যকার মানুষ।’’