ঈশ্বরের সেবা করতে সব মানুষই চায়৷ নিজেদের সবটুকু দিয়ে ভগবানের পুজো করে সকলেই৷ তবে কখনও কখনও ভগবান স্বয়ং তাঁর ভক্তদের ক্ষুধা নিবৃত্তি করেন৷ যেমনটা হল লুধিয়ানায়৷ ক্ষুধার্তদের পেট ভরাতে তৈরী হল চকলেটের গণপতি৷
দেশজুড়ে জাঁকজমকভাবে পালিত হচ্ছে গণেশ চতুর্থী। এই জাঁকজমকের মাঝেই মানবিকতার মুখ হয়ে উঠলেন লুধিয়ানার এক বেকারির মালিক৷ মূর্তি তৈরি হল চকোলেট দিয়ে। পুজো পর্ব মিটলেই সাবেক বিসর্জন হয়ে গেলেই ক্ষুধার্ত মানুষজনের পেট ভরাবে ওই বিপুল পরিমাণ চকোলেট।
প্রতি বছরই ওই বেকারির মালিক চকোলেটের গণেশ মূর্তি তৈরি করেন। আর তা তৈরি হয় বেলজিয়ান চকোলেট দিয়ে। এই বছরেও তার অন্যথা হল না। প্রায় ১০০ কেজির কাছাকাছি চকোলেট দিয়ে তৈরি হয়েছে সেই মূর্তি। আর তৈরির পর গণপত্তি বাপ্পার ওজন এসে দাঁড়িয়েছে ৪০ কেজিতে। নিজের ট্যুইটার হ্যান্ডেল থেকেই এই কথা জানিয়েছেন বেলফ্রান্স বেকারির মালিক হরজিন্দর সিং কুকরেজা৷
জানা গেছে, বিসর্জন যখন হবে, সেই মুহূর্তে গণেশ মূর্তিকে ভাসানো হবে দুধে। আর সেই সময়েই মিল্কশেক বিলিয়ে দেওয়া হবে প্রচুর মানুষের মধ্যে। তবে এই বারের এই গণেশ মূর্তি হরজিন্দর সিং তৈরি করেছেন বিগত চার বছর ধরে।
গত বছরই তিনি যে, গণেশ মূর্তি তৈরি করেছিলেন তা-ও ছিল এই চকোলেটের তৈরি। আর তার ওজন ছিল প্রায় ৬৫ কিলোর কাছাকাছি। ২০ জন নামজাদা শেফ মিলে তৈরি করেছিলেন সেই চকোলেটের মূর্তি।
এভাবে মানুষের পেট ভরানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে উড়িষ্যাতেও৷ সেখানে কাঁচকলা দিয়ে গণেশ মূর্তি তৈরি করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন কর্মকর্তারা। দশ দিনের টানা উৎসব শেষ হলেই সেই কলা পাকবে। আর পাকা কলায় ভরবে বহু ভুখা পেট। এভাবেই আড়ম্বর পেরিয়ে মানুষ মানবিকতার জন্য পুজো করুন৷ আসলে ভক্তের খুশিতেই গণেশরা খুশি৷