হাওড়া পুর এলাকার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মধুসূদন পাল চৌধুরি ফার্স্ট বাই লেনের মানুষ বরাবরই জমা জলের জেরে নাজেহাল হতেন। একটু বৃষ্টিতেই জলবন্দি। গৃহস্থের বাড়িতে জল ঢুকে পরিস্থিতি শোচনীয় হয়ে উঠত। রাস্তায় জল জমে থাকত ৫–৬ দিন। সহজে নামত না। এবার সেই জলযন্ত্রণা থেকে মুক্তি মিলল ‘দিদিকে বলো’র ৯১৩৭০৯১৩৭০ নম্বরে ফোন করে।
স্থানীয় কাউন্সিলর বিভাস হাজরা থেকে হাওড়া পুরনিগমকে বহুবার এলাকার মানুষজন সমস্যার কথা জানিয়েছিলেন। তাতেও সেভাবে কাজ হচ্ছিল না বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। নোংরা–আর্বজনায় ভর্তি জল পেরিয়েই এলাকাবাসীদের যাতায়াত করতে হত। এর পরই স্থানীয় বাসিন্দা রেণু সরকার ও তাঁর বাড়ির লোকেরা কয়েকদিন আগে বিষয়টি ‘দিদিকে বলো’–র নম্বরে ফোন করে জানান। দীর্ঘদিন ধরেই যে জল জমার সমস্যায় নাজেহাল হতেন এলাকার বাসিন্দারা, তার থেকে অনেকটাই রেহাই পেয়েছেন তাঁরা।
জানা গেছে, খোদ মুখ্যমন্ত্রীর দফতর থেকে দ্রুত এই সমস্যা সমাধানে নির্দেশ আসতেই, হাওড়া পুরনিগম কর্তৃপক্ষ তৎক্ষণাৎ সমস্যা সমাধানে তড়িঘড়ি ঝাঁপিয়ে পড়েন। যা দেখে বেজায় খুশি এলাকার বাসিন্দারা। রেণু সরকার ও কৃষ্ণা সরকারের কথায়, “ওই নম্বরে ফোন করতেই ২–৩ দিনের মধ্যে পরিস্থিতি বদলাতে শুরু করে। আগে যে জল ৫–৬ দিন এলাকার রাস্তায় বা অনেকের বাড়িতে জমে থাকত, এখন সেই জলই ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সরে যাচ্ছে। নিকাশি নালাগুলি নিয়মিত সংস্কার হচ্ছে। সোমবারের বৃষ্টিতে জমা জলও রাতের মধ্যেই নেমে গেছে। অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে এই কাজ হয়েছে। যা সত্যিই প্রশংসনীয়”।