মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবারই বলেন যে ‘এগিয়ে বাংলা’। এই তথ্য যে একেবারেই ভ্রান্ত নয়, একাধিক বার মিলেছে তার প্রমাণ। বিগত ৮ বছরে একদিকে যেমন কন্যাশ্রী, সবুজসাথীর মতো প্রকল্পগুলি পেয়েছে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি, তেমনি কেন্দ্রীয় রিপোর্টে ১০০ দিনের কাজে পরপর তিনবার বাংলার মুকুটে উঠেছে সেরার শিরোপা। পঞ্চায়েত-গ্রামোন্নয়ন এবং রেশন ব্যবস্থাতেও সারা দেশের কাছে এ রাজ্য হয়ে উঠেছে রোল মডেল। শুধু তাই নয়। আর্থিক বৃদ্ধি থেকে কৃষি, স্বাস্থ্যের সূচক থেকে স্কুলে ছাত্র ভর্তি— প্রায় সব ক্ষেত্রেই দেখা গেছে, জাতীয় গড়ের থেকেও এগিয়ে মমতার রাজ্যই। এবার এ রাজ্যে আদিবাসী উন্নয়নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের কাজের প্রশংসা করলেন মধ্যপ্রদেশের তফসিলি কল্যাণ দফতরের মন্ত্রী ওমকার সিং মারকম। মঙ্গলবার এ রাজ্যের আদিবাসী কল্যাণ ও অনগ্রসর উন্নয়ন দপ্তরের মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকে এ কথা জানিয়েছেন ওমকার সিং মারকম।
পরে রাজীব বলেন, আমাদের দফতর আদিবাসীদের নিয়ে কী ভালো কাজ করেছে তিনি তা দেখতে এসেছিলেন। সেখানে আমাদের বেশ কিছু কাজের প্রশংসা করেন তিনি। আমাদের এখানে আইন করা হয়েছে যে, আদিবাসীদের জমি অন্য কেউ কিনতে পারেন না। ওঁদের জমি হস্তান্তরও করা যাবে না। এর প্রশংসা করেছেন তিনি। এছাড়া সাঁওতালি, অলচিকি হরফের ডিকশনারি, বই সেগুলো দেখে ওঁর ভালো লেগেছে। মেডিকেলের ক্ষেত্রে, স্কিল উন্নয়নে ট্রাইবালদের জন্য যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে তারও প্রশংসা করেছেন। উল্লেখ্য, এর আগে বাংলায় দলিত শ্রেণীর ওপরে আক্রমণ বা হামলার ঘটনার কোনও নিদর্শন নেই বলে দাবি করে মমতাকে দরাজ সার্টিফিকেট দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রামদাস আটাওয়ালে। আর এবার আদিবাসী উন্নয়নের ক্ষেত্রে মমতাকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিলেন ভিনরাজ্যের মন্ত্রী।