বম্বে আইআইটি-তে কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী রমেশ পোখরিয়ালকে আনার তীব্র বিরোধিতা করলেন স্নাতকের পড়ুয়ারা। ‘নিশাঙ্ক’ আইআইটিতে প্রযুক্তি সংক্রান্ত প্রদর্শনী টেকএক্স-এর উদ্বোধন করেন তিনি। তারপর বক্তব্য পেশ করতে গিয়ে বলেন, ‘ঋষি চারক প্রথম অণু-পরমাণু আবিষ্কার করেছেন’। এখানেই না থেমে তিনি যোগ করেন, ‘সংস্কৃত ভাষার ওপরে ভিত্তি করেই কথা বলা কম্পিউটার নির্মিত হয়েছে। যার স্বীকৃতি দিয়েছে নাসা’।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর মুখে এমন সব মন্তব্য শুনে বেজায় চটেছেন আইআইটি-র পড়ুয়ারা। তাঁদের অভিযোগ, পোখরিয়ালের এমন বক্তব্য ছাত্রদের জাতীয়তাবাদী মনস্তত্ত্বের ওপর আঘাত করেছে। তাঁদের প্রশ্ন, ‘একজন মন্ত্রী এমন একটা টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউটে এসে কি করে এমন ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করতে পারেন’? ওই পড়ুয়ারাদের কথায়, মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রীর বদলে এই অনুষ্ঠানে আরও অনেক যোগ্য মানুষ ছিল যাঁদের আমন্ত্রণ করা যেত। একই সঙ্গে সংস্কৃতকেও বিশ্বের প্রথম ভাষা বলে দাবি করেন মন্ত্রী। র কথায় সংস্কৃতই সবথেকে সহজবোধ্য, বিজ্ঞানভিত্তিক ভাষা যা কম্পিউটারও বুঝতে পারে। যা একেবারেই মেনে নিতে পারছেন না আইআইটি পড়ুয়ারা।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আরও দাবি করেন, বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি ক্ষেত্রে চীনকে পিছনে ফেলে বিশ্বের এক নম্বর দেশ হতে চলেছে ভারত। এই প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশের গীতাকে এখন বিজ্ঞান বলে মানছে গোটা বিশ্ব। বিভিন্ন দেশে তা নিয়ে চর্চা হচ্ছে। গীতা এক এমন বিজ্ঞান যা আত্মার সঙ্গে পরমাত্মাকে মেলায়। আমাদের শরীর তো একটা কাঠামো মাত্র, কোনও তো একটা শক্তি আছে যা তাকে চালিত করছে।’
বেদকেও পৃথিবীর প্রথম গ্রন্থ বলে দাবি করেন মন্ত্রী। বেদের আগে পৃথিবীতে অন্য কোনও বইয়ের অস্তিত্ব ছিল কি না, তা প্রমাণ করার চ্যালেঞ্জও ছুড়ে দেন রমেশ পোখরিয়াল।