তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশ করেছিল ভারত। পরবর্তী তিন ম্যাচের ওয়ান ডে সিরিজ ২-০ ব্যবধানে জিতে নেয় টিম ইন্ডিয়া। সিরিজের একটি ওয়ান ডে বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হয়। এবার আইসিসি ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অন্তর্গত সিরিজের দুটি টেস্টেই জয় তুলে নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে তাদের ঘরের মাঠে ক্লিন স্যুইপ করল বিরাট কোহলিরা।
তৃতীয় দিন ভারত ডিক্লেয়ার করার পরেই বোঝা গিয়েছিল ৪৬৮ রান তাড়া করার ক্ষমতা এই ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের নেই। প্রত্যাশা মতোই ২১০ রানে দ্বিতীয় ইনিংস শেষ হয়ে গেল জেসন হোল্ডারদের। ভারত জিতল ২৫৭ রানে। জন্মদিনে দু’টি উইকেট নেন ইশান্ত শর্মা। তিন উইকেট মহম্মদ শামি ও জাডেজার। যশপ্রীত বুমরার এক উইকেট। বিপক্ষকে হোয়াইটওয়াশ করে ১২০ পয়েন্ট নিয়ে টেস্ট বিশ্বকাপ তালিকার শীর্ষে থেকে দেশে ফিরতে চলেছে বিরাট-বাহিনী।
দ্বিতীয় টেস্টেও শুরু থেকে দাপট দেখায় ভারত। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৪১৬ রানের বিশাল রান করে ভারত। এই রানের পিছনে বড় অবদান ছিল ভারত অধিনায়ক কোহলির। তিনি ৭৬ রান করে আউট হন। ওপেনার ময়ঙ্ক আগরওয়ালও ৫৫ করেন। কিন্তু তারপরে দেখা গেল হনুমা বিহারির ধৈর্যশীল ব্যাটিং। প্রথম টেস্টে মাত্র ৭ রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস করেছিলেন তিনি। কিন্তু এই টেস্টে করলেন না। জীবনের প্রথম সেঞ্চুরি এল বিহারির ব্যাট থেকে। তাঁকে যোগ্য সঙ্গ দিলেন ইশান্ত। তিনিও জীবনের প্রথম হাফসেঞ্চুরি করেন। শেষ পর্যন্ত ৫৭ রানে শেষ হয় ইশান্তের ইনিংস। হোল্ডার ৫ উইকেট নেন।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ইনিংসে শুরুতেই ধরাশায়ী হয়ে যায় ক্যারিবিয়ান ইনিংস। বুমরাহর আগুনে স্পেলের সামনে দাঁড়াতে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজের টপ ও মিডল অর্ডার। পরপর তিন বলে ব্রাভো, ব্রুকস ও চেজকে আউট করে হ্যাটট্রিক করেন বুমরাহ। মাত্র ২২ রানে ৫ উইকেট পড়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের। মাঝে ইনিংস কিছুটা সামলান হেটমায়ের ও হোল্ডার। কিন্তু তাতে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি তাঁরা। মাত্র ১১৭ রানেই শেষ হয়ে যায় তাঁদের ইনিংস। বুমরাহ ২২ রান দিয়ে ৬টি উইকেট নেন।
দ্বিতীয় ইনিংসে ভারতের টপ অর্ডার রান না পেলেও ফের রান করলেন বিহারি ও রাহানে। প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরির পর দ্বিতীয় ইনিংসে ৫৩ করেন হনুমা। রাহানেও ৬৪ করেন। ৪ উইকেটে ১৬৮ রানে ডিক্লেয়ার হয় ভারতের ইনিংস। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সামনে ৪৬৮ রানের টার্গেট দেয় ভারত।
তৃতীয় দিন শেষ বেলায় বুমরার বল ব্র্যাভোর হেলমেটে আছড়ে পড়েছিল। প্রশ্ন উঠছে, সব ডাক্তারি পরীক্ষা কি ব্র্যাভোকে চতুর্থ দিন ক্রিজে পাঠানোর আগে করা হয়েছিল? লর্ডসে চোট লাগার পরে স্টিভ স্মিথের ক্ষেত্রে যে ব্যবস্থা অস্ট্রেলিয়া নিয়েছিল, সেই একই ব্যবস্থা কি ব্র্যাভোর ক্ষেত্রে ছিল? চতুর্থ দিন তাঁকে ব্যাট করতে পাঠানোর ঝুঁকি কেন নেওয়া হল?
ভারতের জয়ের আগে সারাদিন চর্চা চলল ড্যারেন ব্র্যাভোর চোট নিয়ে। স্টিভ স্মিথের পর এ বার ডারেন ব্র্যাভো! ফের কনকাসনের জন্য মাঠ ছাড়তে হল আর এক টেস্ট ব্যাটসম্যানকে। ভারত-ওয়েস্ট ইন্ডিজ দ্বিতীয় টেস্টের চতুর্থ দিন হঠাৎই অসুস্থ বোধ করায় মাঠ ছাড়তে হয় ড্যারেন ব্র্যাভোকে (আহত ও অবসৃত ২৩)। কনকাসন সাবস্টিটউট হিসেবে ব্যাট করতে নামেন জের্মেন ব্ল্যাকউড। যেমন ভাবে অ্যাসেজে কিছু দিন আগে স্টিভ স্মিথের জায়গায় লাবুশানেকে টেস্টে বদলি হিসেবে খেলিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া।