সদ্য শেষ হওয়া ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচ জিতে সিরিজ জিতে নিয়েছে ভারত। সেখানে এই ম্যাচ জেতানোর অন্যতম কারিগর হলেন জশপ্রীত বুমরা। সেই সাফল্যের চাবিকাঠি এইবার সমর্থকদের কাছে খোলসা করলেন তিনি। তাঁর কথায়, “ইংল্যান্ডে আমি টেস্ট ম্যাচ কম খেলিনি। ওখানে ডিউক বলেই বল করতে হত। ওই বলে ইন-আউট যে কোনও সুইং চমৎকার করানো যায়। ওই অভিজ্ঞতাটা ক্যারিবিয়ান সফরে এসেও আমার কাজে লাগছে।”
প্রসঙ্গত, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টে ৭ রানে পাঁচ উইকেট নিয়ে চমকে দিয়েছিলেন বুমরা। দ্বিতীয় টেস্টে বুম বুম বুমরার বল আরও বিষাক্ত। হ্যাটট্রিক করে ভেঙেছেন জেসন হোল্ডারের টিমকে। সব মিলিয়ে ১২.২ ওভার বল করে ২৭ রান দিয়ে নিয়েছেন ৬ উইকেট। ভারতের ডান হাতি পেসার যে ফর্মে আছেন, তাতে মনে হচ্ছে কোনও ব্যাটসম্যানই আটকাতে পারবেন না বুমরাকে।
ভারতের স্ট্র্যাটেজি নিয়ে বলতে গিয়ে বুমরার ব্যাখ্যা, “উইকেটটা আগে বুঝতে হবে। কী পরিবেশ আর কী পরিস্থিতি— এটা বুঝে নিতে পারলে কিন্তু কাজটা অনেক সহজ হয়ে যায়। যেখানে উইকেটে দারুণ বাউন্স আছে। এই রকম উইকেটে যে কেউ শর্ট বল করার লোভ করে বসবে। কিন্তু সেটা করতে গেলেই মুশকিল। বোলারকে সঠিক জায়গায় বল করতে হবে। যাতে বিপক্ষের উপর চাপ তৈরি করা যায়। প্রথম ইনিংসে এটাই আমাদের সোজাসাপ্টা পরিকল্পনা ছিল।”
বুমরা কোহলির সমর্থন পেয়ে খুব আনন্দিত। তাঁর কথায়, “ক্যাপ্টেনের ভরসা যদি পাওয়া যায়, যে কোনও বোলারই আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠবে। আর তখন, বোলার যা করাতে চাইছে, তাই করার চেষ্টা করে।” নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা যেমন করেন, তেমনই টিমের কাজে যাতে লাগতে পারেন, সেই চেষ্টাও করেন। তাঁর কথায়, “আমি সব সময় টিমের যেটা লক্ষ্য, সে দিকেই ফোকাস করি। আমি উইকেট না পাওয়া সত্ত্বেও যদি টিম জেতে, তা হলে কোনও সমস্যা নেই। আর সেটা উইকেট নিয়ে কিংবা একটা এন্ড থেকে বিপক্ষের উপর চাপ তৈরি করেও করা যায়।”
শুধু নিজে নয়, তাঁর টিমের বাকি পেসারদেরও সব সময় পাশে চান বুমরা। মহম্মদ সামি, ইশান্ত শর্মারাও যে তাঁকে নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে সাহায্য করেন, তা স্বীকার করে নিচ্ছেন তিনি। বুমরার কথায়, “আমরা সবাই মিলে প্রচুর পরিশ্রম করেছি। আমরা বিদেশে বেশ কিছু ম্যাচও খেলেছি। আমাদের মধ্যে একটা দারুণ কম্বিনেশন আছে। একে অপরের পাশে থাকি। যখন আমরা সবাই মিলে ভালো পারফর্ম করি, তখন সেই মানটা আরও বাড়ানো যায় কী করে, তা নিয়ে আলোচনা করি। ইশান্ত অনেক বেশি ক্রিকেট খেলেছে। সামিও সিনিয়র। নতুন হিসেবে আমি সব সময় ওদের কাছে পরামর্শ চাই। ওরা ক্যারিবিয়ান সফরে এর আগেও খেলেছে। তাই ওদের কাছে আমি জানার চেষ্টা করি, এখানে সফল হতে গেলে কী করতে হবে? কিংবা উইকেট যখন তেমন কিছু দিতে পারছে না, তখন কী করা দরকার?”