মরশুমের প্রথম থেকেই বর্ষা এবার খামখেয়ালী। প্রথম দিকে চাতকের মত মানুষ বৃষ্টির অপেক্ষা করেছে। অবশেষে বৃষ্টি এসেছে কিন্ত সেই বৃষ্টির জমা জলে প্রাণ ওষ্ঠাগত মানুষের, বাজ পড়ে প্রাণও হারিয়েছেন কয়েকজন। তারপরে ফের সেই ভ্যাপসা গরম। বৃষ্টি বেপাত্তাই। গরমকে সঙ্গী করেই মানুষ তৈরি হচ্ছেন পুজোর জন্যে। তবে এই প্রবল উৎসাহে জল ঢালল আবহাওয়া দফতর। জানানো হল পুজোয় প্রবল বৃষ্টির সম্ভাবনা।
সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহে ভরা দুর্যোগের আশঙ্কা করছে হাওয়া অফিস। পুজো এ বছর বেশ খানিকটা আগে। বর্ষার মরশুমে এ বছর তেমন বৃষ্টি হয়নি দক্ষিণবঙ্গে। স্বাভাবিকের তুলনায় বর্ষা এসেওছিল অনেকটা দেরিতে। নির্ধারিত সময়ের তুলনায় প্রায় দু’সপ্তাহ দেরিতে দক্ষিণবঙ্গে এসেছিল বর্ষা। রেকর্ড ব্রেকিং দেরির কারণে এ বার আষাঢ়-শ্রাবণের খামতি ভাদ্র-আশ্বিনেই পূরণ করতে চলেছে মৌসুমি বায়ু। তেমনটাই আশঙ্কা আবহবিদদের। সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে বাড়তে পারে বৃষ্টির পরিমাণ। আশঙ্কা আবহাওয়া দফতরের। ফলে মন্দা হতে পারে পুজোর বাজারেও।
এ দিকে পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সাধারণত, সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহের পর থেকে পশ্চিমবঙ্গে কমতে থাকে বর্ষার প্রকোপ। আর অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহের শেষে পাকাপাকিভাবে পশ্চিমবঙ্গ ছাড়ে মৌসুমি বায়ু। তবে চলতি মরশুমে আবহবিদদের আশঙ্কা সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয়ার্ধে নাগাড়ে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে দক্ষিণবঙ্গে। মৌসম ভবনের আগাম পূর্বাভাস সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহেও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আর এই বৃষ্টিতে পণ্ড হতে পারে পুজোর প্ল্যান।
পাশাপাশি এই সপ্তাহেও বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। উত্তর পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এবং আশেপাশের অঞ্চলে নিম্নচাপ ক্ষেত্র সৃষ্টি হওয়ার কারণে মৎসজীবীদের আগামী ২ ও ৩ সেপ্টেম্বর সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হচ্ছে । তবে বৃষ্টি হলেও গরম এখনই কমছে না দক্ষিণবঙ্গে। বরং আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি বজায় থাকবে। ফলে ভাদ্র মাসের গুমোট গরমে নাজেহাল হবে দক্ষিণবঙ্গবাসী। দিনের প্রথমার্ধে পাল্লা দিয়ে বাড়বে তাপমাত্রাও। সোমবার শহরের তাপমাত্রা ছিল সর্বোচ্চ ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এবং সর্বনিম্ন ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে চড়া রোদের তেজে রিয়েল ফিল ছুঁয়েছে ৪০-এর কোঠা। তবে সকাল থেকে রোদ ঝলমলে দিন থাকলেও, বেলা বাড়তেই আংশিক মেঘলা হয়েছে আকাশ। বিকেলের দিকে ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে পূর্বাভাস জারি করেছে আলিপুর।