হতে পারতো টিভিতে দেখা সেই চিরাচরিত স্প্যানিশ টাচ। বদলে পাওয়া গেল বল পেলেই সেই উড়িয়ে দেওয়ার খেলা। ভাবা হয়েছিল, দুই দলের স্প্যানিশ প্লেয়ারদের তিকিতাকায় উদ্বেল হবে গ্যালারি। বদলে মিলল শুধুই হতাশা আর বিরক্তি। মরশুমের প্রথম ডার্বি শেষ হল অমীমাংসিত ভাবেই। গতকাল চামেরোর দলে না থাকাতে অবাকই হয়েছিলেন সমর্থকেরা। যার জেরে সমর্থকদের ক্ষোভের মুখেও পড়তে হয় কোচ কিবু ভিকুনাকে।
চামেরোকে বাদ দেওয়ার জন্যে সাংবাদিক সম্মেলনে অদ্ভুত যুক্তি খাড়া করেন ভিকুনা। মোহনবাগান কোচ চামোরোর না খেলা সম্পর্কে অদ্ভুত যুক্তি দিয়ে বলেন, ‘‘এক একটা দৌড়ের জন্য এক এক রকম ঘোড়া তৈরি থাকে। তিন দিন অন্তর ম্যাচ খেলতে হচ্ছে। সালভা এর মধ্যেই বেশ কিছু ম্যাচ খেলে ফেলেছে। তা ছাড়া রক্ষণ পোক্ত করতে হত। তাই ওকে দলে রাখিনি”।উল্লেখ্য চামেরোর মতই গতকাল ইস্টবেঙ্গলে ছিলেন না কোলাডোও।
ম্যাচের আগে তাঁর দলের রক্ষণ, ফিটনেস ও বিপক্ষের কোলাদো নিয়ে অনেক কথা শুনতে হয়েছিল মোহনবাগান কোচকে। সাংবাদিক সম্মেলনে এসে কিবু পাল্টা প্রশ্ন করেন, ‘‘ফিটনেস, রক্ষণ নিয়ে কোনও প্রশ্ন নেই?’’বিপক্ষে কোলাদো না থাকায় সুবিধা হয়ে গিয়েছিল কি না তা জানতে চাইলে এ বার মোহনবাগান কোচ বলেন, ‘‘আমি নিজের বাগানের দেখভাল করি। প্রতিবেশীর বাগান দেখা আমার কাজ নয়। আলেহান্দ্রোর কাছে জানতে চেয়েছেন, চামোরো না খেলায় ওদের সুবিধা হয়েছে কি না?’’
কিবু আরও বলেন, দলের রক্ষণকে পোক্ত করতেই ফ্রান মোরান্তের নেতৃত্বে চার ডিফেন্ডারের সামনে দুই হোল্ডিং মিডফিল্ডার শেখ সাহিল ও ফ্রান গঞ্জালেসকে রেখেছিলেন। আর বেইতিয়াকে দিয়েছিলেন আক্রমণ ও রক্ষণের মধ্যে সেতুবন্ধন করতে। বেইতিয়া ছাড়াও এ দিন সবুজ-মেরুনের অপর নায়ক শেখ সাহিল। কোচ কিবুও উচ্ছ্বসিত সাহিলের খেলা দেখে। তাঁর কথায়, ‘‘১৯ বছরের ছেলেটা দারুণ খেলল। মাথা শান্ত। অ্যাকাডেমি থেকে উঠে এসে বড়দের দলে দারুণ মানিয়ে নিয়েছে।’’ বেইতিয়াও তাঁর এই বঙ্গসন্তান সতীর্থ সম্পর্কে বলছেন, ‘‘সাহিল দুর্দান্ত। ও মাঝমাঠে দায়িত্ব নিয়ে খেলায় আমার সুবিধা হয়েছে।’
ম্যাচ ড্র হওয়ায় হতাশার সুর ভিকুনার গলাতেও। সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন,‘‘ম্যাচটা আমরা ১-০ জিততেই পারতাম। তাই হতাশ তো লাগবেই।’’কিবু সঙ্গে যোগ করেন, ‘‘আমরা গোলের সহজ সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারিনি। প্রথমার্ধে নিখুঁত পাস ও দুই প্রান্ত ধরে আক্রমণ করার সময়েই গোল চলে আসতে পারত। ভাগ্য খারাপ। তাই জেতা হল না।’’