দিদিকে বলো-র প্রচারে সামগ্রিকভাবে বিধায়কদের কাজে ‘খুশি’ তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ বার তাঁর নির্দেশ সাংসদদের। সোমবার দুপুরে কালীঘাটের বাড়িতে সাংসদ এবং জেলা সভাপতিদের সঙ্গে বৈঠকে লোকসভা ও রাজ্যসভার মোট ৩৪ জন সাংসদকে মমতা বলে দিয়েছেন, এ বার তাঁদেরও গ্রামে গ্রামে যেতে হবে। কর্মীদের বাড়িতে খেতে হবে। রাতে থাকতেও হবে।
একই সঙ্গে জনসংযোগ বাড়াতে এবার তৃণমূলের অন্দরে তৈরি করা হয়েছে একটি নতুন পদ। ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচিকে মানুষের কাছে আরও বেশিমাত্রায় পৌঁছে দিতে তৈরি করা হয়েছে নতুন এই কো-অর্ডিনেটর পদটি। জেলা সভাপতির সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করবেন এই কো-অর্ডিনেটররা।
রাজ্যের ১০ হাজার গ্রামে ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা স্থির হয় এদিনের বৈঠকে। গ্রামে গ্রামে ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি পৌঁছে দেওয়ার কাজে অগ্রণী ভূমিকায় থাকবেন এই নয়া কো-অর্ডিনেটররা। মোট ১৪ জন কো-অর্ডিনেটরকে এদিন বৈঠকে বাছা হয়।
মূলত যুব তৃণমূল থেকেই বাছা হয়েছে কো-অর্ডিনেটরদের। ‘দিদিকে বলো’কে আরও সফল করতে, জনসংযোগ আরও মজবুত করতে চেষ্টায় কোনও ফাঁক রাখতে চায় না তৃণমূল নেতৃত্ব। এদিন কো-অর্ডিনেটর পদ তৈরির পাশাপাশি, সাংসদদের উদ্দেশ্যেও একটি নির্দেশ জারি করেন তৃণমূল সুপ্রিমো। মাসে কমপক্ষে ৫ দিন দলের নির্দেশ মেনে কাজ করার কথা বলা হয়েছে সাংসদদের। ওই ৫ দিনের সাংসদদের কর্মসূচি ঠিক করে দেবেন দলনেত্রী নিজে। দল যা বলবে, সেটাই করতে হবে তাঁদের।