সারা দেশে অর্থনৈতিক মন্দার বাজার। গাড়ি বাজারে নেমেছে বিরাট ধ্বস। জিডিপির নিরিখে বিশ্ববাজারেও পিছিয়ে পড়েছে ভারত। প্রায় দিন শেয়ারের বাজারের সূচক নিম্নগামী। দেশের এই অর্থনৈতিক মন্দার ছবিটা ঠিক কেমন তা গত সপ্তাহে সরকারের দেওয়া একটি পরিসংখ্যান থেকে মোটামুটি বোঝা গিয়েছিল। সরকারের তরফে জানানো হয়েছিল যে গত ত্রৈমাসিকে আর্থিক বৃদ্ধির হার নেমে এসেছে ৫ শতাংশে।
এখানেই শেষ নয়। পরিস্থিতি ক্রমশ ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। যা পরিস্থিতি তাতে জুলাই মাসে দেশের প্রধান আটটি শিল্পক্ষেত্রে উৎপাদনে বৃদ্ধির হার কমে ২.১ শতাংশে নেমে এসেছে। শিল্পে উৎপাদনের সূচক তথা ইন্ডেক্স অফ ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রোডাকশনের ক্ষেত্রে চল্লিশ শতাংশ গুরুত্ব দেওয়া হয় কোর সেক্টরকে। এর মধ্যে আটটি প্রধান শিল্প রয়েছে,–কয়লা, বিদ্যুৎ উৎপাদন, কাঁচা পেট্রোলিয়াম তেলের পরিশোধন ইত্যাদি। সোমবার সরকারের তরফে জানানো হয়েছে যে কয়লা, কাঁচা তেল, প্রাকৃতিক গ্যাস এবং পরিশোধনাগারে উৎপাদনে বৃদ্ধির হার জুলাই মাসে ছিল নেগেটিভ। অর্থাৎ আগের থেকে উৎপাদন কমেছে।
প্রসঙ্গত, গত বছর জুলাইয়ে কোর সেক্টরের বৃদ্ধির হার ছিল ৭.৩ শতাংশ। সেখান থেকে বৃদ্ধির হার এতটা নীচে নেমে যাওয়া উদ্বেগজনক বলেই মনে করা হচ্ছে। জুলাইতে বৃদ্ধির হার কমই থাকবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কারণ, জুন মাসে শিল্পোৎপাদনে বৃদ্ধির হার ছিল মাত্র ২ শতাংশ। সন্দেহ নেই এই সব পরিসংখ্যান কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদী সরকারকে ক্রমশই চাপে ফেলে দিচ্ছে। দেশে আচ্ছে দিন আনার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু অর্থনীতির বর্তমান ছবিটা দেখে আচ্ছে দিন যে বলা যাচ্ছে না, তা ঘরোয়া আলোচনায় স্বীকার করে নিচ্ছেন বিজেপি নেতারাও।