লোকসভা ভোটে বিজেপি, এই রাজ্যে ভালো ফল করার জন্য বিজেপির কিছু উৎশৃঙ্খল কর্মী একের পর এক তৃণমূলের পার্টি অফিস গুলো দখল করে নেয় ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের শ্যামনগর, জগদ্দল এলাকার। তৃণমূল তথা সরকারের মন্ত্রী আহ্বানেও কোনো কর্ণপাত করেনি বিজেপি কর্মীরা।
গতকাল তৃণমূল তাদের পার্টি অফিস পুনরুদ্ধারে নামে, এবং হঠাৎ করে অর্জুন সিং সেখানে উপস্থিত হওয়াতেই বিজেপির নিজেদের গোষ্ঠীকোন্দলের জেরেই হোক বা অন্য কোনো অভ্যন্তরীন কারণে অর্জুন সিংহের গাড়ি ভাংচুর করা হয়, যার পরিপ্রেক্ষিতে বিজেপি আজ ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রে ১২ ঘন্টার বনধ ডাকে। বনধে কোনো সারা মানুষ সাড়া না দিলেও জগদ্দল-শ্যামনগর এলাকায় বিজেপি কর্মীরা জোরজবরদস্তি দোকান পাট অটো বন্ধ করার চেষ্টা করেন।
অন্যদিকে, কাঁচরাপাড়ায় বিজেপির মুকুল রায় ও তার পুত্র শুভ্রাংশু রায়ের বাসস্থান হলেও তৃণমূলের লড়াকু নেত্রী আলোরাণী সরকারের দাপটে বীজপুরে ১ শতাংশও বিজেপি ডাকা ১২ ঘন্টার বনধের কোনো প্রভাব পড়েনি। একেবারে স্বাভাবিক ছিল সেখানকার পরিস্থিতি। তাঁর নেতৃত্বে তৃণমূল এলাকায় মিছিল করে এবং সাধারণ মানুষ স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে আলোরাণী সরকারের পায়ে পা মেলান। তাঁর নেতৃত্বে একবারের জন্যেও মনে হয়নি বিজেপি কোনো বনধ ডেকেছিল আজকে।