গতকালই নয়া দিল্লীর এইমস-এ চিকিৎসকরা তাঁকে আইসিইউ থেকে জেনারেল বেডে সরিয়ে এনেছিলেন। বিপদ কেটেছে বলেও জানানো হয়েছিল হাসপাতালের মেডিক্যাল বুলেটিনে। সোমবার সেই উন্নাওকান্ডে নির্যাতিতা তরুণীর সঙ্গে কথা বললেন কেন্দ্রীয় তদন্ত এজেন্সি সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা। গোয়েন্দা দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, ২৮ জুলাইয়ের গাড়ি দুর্ঘটনা নিয়ে তাঁর বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে।
২০১৭ সালে উন্নাওয়ের এই নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে বিজেপি বিধায়ক কুলদীপ সেঙ্গারের বিরুদ্ধে। সেই মামলা চলাকালীনই গত ২৮ জুলাই উন্নাও থেকে রায়বরেলী যাওয়ার পথে তাঁদের গাড়িতে ধাক্কা মারে একটি ট্রাক। এই দুর্ঘটনায় নির্যাতিতার দুই কাকিমার মৃত্যু হয়। তাঁদের মধ্যে একজন ওই ধর্ষণের মামলায় অন্যতম সাক্ষী ছিলেন। প্রথমে লখনৌ-এর একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। পরে সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দেয়, আরও ভালো চিকিৎসার জন্য তাঁকে দিল্লির এইমস-এ ভর্তি করতে। তারপরেই তাঁকে তৎপরতার সঙ্গে হেলিকপ্টারে করে উড়িয়ে এনে এইমস-এ ভর্তি করা হয়। আপাতত সেখানেই চিকিৎসাধীন সেই নির্যাতিতা।
বিজেপি বিধায়ক কুলদীপ আপাতত জেলে। অভিযোগ, জেলে বসেই এই তরুণীকে হত্যার ছক কষেন তিনি। এরপরই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় দেশের শীর্ষ আদালত। বিচারপতি দীপক গুপ্ত বলেন, “যা অভিযোগ উঠছে বিধায়কের বিরুদ্ধে তা যদি সত্যি হয়, তাহলে আমাদের ভাবতে হবে আমরা কোন সমাজে বাস করছি। এই রকম ক্রিমিনাল মানসিকতার লোকজনের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে হবে। সিবিআই সময় নিয়ে তদন্ত করুক।”
আজ সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি নির্দেশ দিয়েছে, যেই নিম্ন আদালতে এই মামলা বিচারাধীন ছিল, সেই নিম্ন আদালতের বিচারককেও পরের শুনানিতে সমস্ত রেকর্ড নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে উপস্থিত থাকতে হবে। এই মামলার পরের শুনানি ৬ সেপ্টেম্বর। তরুণীর বয়ান থেকে কী পাওয়া গেল, তা ওইদিনই কোর্টে জানাবে সিবিআই।