এটা প্রথম নয়। বারবার তিনি এনআরসি নিয়ে প্রতিবাদে সরব হয়েছেন। আসামের জাতীয় নাগরিকপঞ্জীকরণের বিরোধীতা করেছেন তিনি। এনআরসি লাঘু না হওয়ার পক্ষে ছিলেন তিনি। তাই এনআরসি চালুর পর গতকাল থেকেই বারবার সরব হয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গতকালই তিনি অভিযোগ করেছিলেন আসামে বাঙালিদের নাম অসৎ উদ্দেশ্যে এনআরসি তালিকা থেকে বাদ পড়েছে। এ দিন তিনি বললেন, প্রকৃত ভারতীয়দের নাম বাদ পড়েছে এই তালিকা থেকে।
রবিবার সকালে পরপর তিনটি টুইট করেন মমতা। প্রথম টুইটে তিনি লেখেন, “এর আগে আমি এনআরসি-র সব কিছু নিয়ে ওয়াকিবহাল ছিলাম না। আমরা খবর পেয়েছি, এই তালিকা থেকে এক লাখের উপর গোর্খার নাম বাদ পড়েছে। এই ঘটনায় আমি অবাক ও মর্মাহত হয়েছি।”
পরের টুইটে মমতা লেখেন, “আসলে হাজার হাজার প্রকৃত ভারতীয়দের নাম এই তালিকা থেকে বাদ পড়েছে। তার মধ্যে অনেক সিআরপিএফ ও সেনাবাহিনীর অন্যান্য জওয়ানরা রয়েছেন। প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ফকরুদ্দিন আলি আহমেদের পরিবারের সদস্যদের নামও বাদ পড়েছে এই তালিকা থেকে।”
শেষ টুইটে মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, “সরকারের উচিত যে সমস্ত প্রকৃত ভারতীয়রা এই তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন, তাঁদের দিকে লক্ষ্য রাখা। প্রকৃত ভারতীয় ভাই-বোনদের উপর যাতে সুবিচার হয়, সে দিকে লক্ষ্য রাখা উচিত সরকারের।”
প্রসঙ্গত, গতকাল সন্ধেবেলা জোড়া টুইট করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে তিনি বলেন, অসৎ উদ্দেশ্যে এনআরসি করে সমাজের এবং দেশের বৃহত্তর স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিয়েছে। যে সমস্ত বাঙালিদের নাম বাদ গিয়েছে এনআরসি তালিকা থেকে বিশেষ করে তাঁদের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর মন কাঁদছে বলে টুইটে লিখেছেন তিনি।
২০১৭-র ডিসেম্বরে জাতীয় নাগরিকপঞ্জিকরণের খসড়া তালিকা প্রকাশের পরই সংসদীয় দলকে অসমে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন মমতা। তারপর তিনি যেখানেই গেছেন এই এনআরসি প্রসঙ্গের বিরোধীতা করেছেন। বাংলাতেও এনআরসি চালু করার দাবি তুলেছে বিজেপি নেতৃত্ব। সেই দাবির বিরুদ্ধেই সুর চড়ালেন বাংলার নেত্রী। কোনোভাবেই বাংলায় এই আইন আনা যাবে না বলে পরোক্ষ হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।