এনআরসি নিয়ে আসামের মানুষের মধ্যে এক চাপা উত্তেজনা চলছিল বহুদিন ধরে। আদেও তাঁরা ভারতের নাগরিক কি না তা নিয়ে এক অজানা আতঙ্কে ভুগেছে নাগরিকরা। এইবার সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে এইদিন এনআরসি তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। আর এই তালিকা থেকে বাদ পড়েছে ১৯ লক্ষ মানুষ। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ফকরুদ্দিন আলি আহমেদের পরিবার। একদা দেশর রাষ্ট্রপতির নামই নেই তালিকায়। বাদ তাঁর পরিবারের নাম। আর এখানেই এই নাগরিকপঞ্জীর প্রক্রিয়া নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
প্রসঙ্গত, গত বছর এনআরসি দ্বিতীয় খসড়া তালিকাতেই তাঁর নাম না থাকা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছিল। এনআরসি কর্তৃপক্ষের তরফে বলা হয়েছিল, নাগরিকত্ব প্রমাণে যথাযথ নথিপত্র পেশ করতে। সেইমতোই কাজ করেছিলেন ফকরুদ্দিনের পরিবারের সদস্যরা। কোথাও কোনও ত্রুটিই ছিল না। তা সত্ত্বেও দিনশেষে নাগরিকত্ব প্রমাণে ব্যর্থ তাঁরা। আজ রাষ্ট্রহীন একদা রাষ্ট্রপতি।
এখানেই নাগরিকপঞ্জির চূড়ান্ত তালিকা তৈরির কাজের পদ্ধতি নিয়ে সংশয়ের অবকাশ থাকছে। কোথাও বাদ পড়েছেন ভূমিপুত্ররাই, তো কোথাও এমন হাইপ্রোফাইল ব্যক্তিত্ব। তাহলে টানা ৬ বছর ধরে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে কো-অর্ডিনেটর প্রতীক হাজেলার নেতৃত্বে কাজ কি এমন দায়সারাভাবেই হয়েছে? প্রশ্ন বিভিন্ন মহলে। পাশাপাশি তাহলে এবার কি ফরেনার্স ট্রাইব্যুনালের দুয়ারে গিয়ে নিজেদের ‘বিদেশি’ তকমামুক্ত করতে হবে ফকরুদ্দিনের পরিবারকে? এই প্রশ্নের উত্তর ভেবেই দিশেহারা তাঁর পরিবার।