গতকাল সন্ধ্যায় শহরের ঝাঁ চকচকে পাঁচতারা হোটেলে হয়ে গেল ডার্বির যৌথ সাংবাদিক সম্মেলন। দু-দলের কোচ এবং প্লেয়ার ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন আইএফএ কর্তা ও টলিউড সুপারস্টার দেব। সেখানে উদ্বোধন হল ডার্বির টস করার জন্য গোল্ড কয়েন। তারপর সাংবাদিক সম্মেলনে কিবু–আলেহান্দ্রো মোলাকাত হয়েও দু’জনের মধ্যে বজায় রইল কয়েক মাইল দূরত্ব। মিটল একেবারে শেষ পর্বে। সাংবাদিক বৈঠক সেরে হাঁটতে শুরু করে দিয়েছিলেন ইস্টবেঙ্গল কোচ। কিছুটা এগিয়ে গিয়েও চিত্র সাংবাদিকদের অনুরোধে ঘুরে এলেন। হাত বাড়ালেন বাগান কোচ কিবুর দিকে। ডার্বি হলেও দুই স্প্যানিশ কোচের বক্তব্যে নেই কোনও গোলাগুলি, কামান দাগা। ভারতীয় বা বঙ্গসন্তান কোচ হলে হয়তো সাংবাদিকদের হাতে গরম কিছু মিললেও মিলতে পারত।
গত মরশুমে দুটো ডার্বিতেই জিতেছিল ইস্টবেঙ্গল। সেক্ষেত্রে কি কিবুর থেকে আলেহান্দ্রো এগিয়ে রয়েছেন? সে কথা মনে করিয়ে দিতে নড়েচড়ে বসলেন লাল-হলুদ সমর্থকদের আলে স্যর। তারপর বললেন, ‘যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে। ওটা অতীত। সামনের ম্যাচ নিয়ে ভাবছি।’ দুই কোচই অন্য দলকে এগিয়ে রাখলেন। আলেহান্দ্রো বললেন, ‘ডার্বিতে কেউ ফেবারিট হয় না। দু’দলই সমান।’ পিছিয়ে নেই বাগান কোচও। বিপক্ষের কোলাডোকে সমীহ করে বলেন, ‘ও এই মুহূর্তে ভারতের অন্যতম সেরা বিদেশি। ওদের গুরুত্বপূর্ণ প্লেয়ার। তবে শুধু কোলাডো নয়, ভাল অনেকেই রয়েছে। সতর্ক থাকতে হবে।’ কিবুর বক্তব্য আলেহান্দ্রোকে স্প্যানিশে অনুবাদ করে দিচ্ছিলেন সহকারি কোকো।
মরশুমের প্রথম ডার্বি। দুজনেই সাবধানে পা ফেলতে চান। রবিবারের ম্যাচে অল–আউট যাবেন? হাসছেন ভিকুনা। বলেন, ‘অল আউট যাব কিনা জানি না, তবে জেতার জন্য নামব।’ আলেসান্দ্রোর কথায়, ‘সমর্থকদের জন্য এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। ওরা এই ম্যাচে জয় ছাড়া কিছু বোঝে না। আমার ছেলেরা ওদের জন্যই মাঠে নামবে।’ ডার্বিতে মোহনবাগানের তুলনায় ইস্টবেঙ্গল মাঝমাঠ শক্তিশালী? কিবুর চটজলদি জবাব, ‘অবশ্যই। ওদের মিডফিল্ড আমাদের থেকে এগিয়ে। অনেক সংঘবদ্ধ।’ একটু থেমে পরক্ষণেই জুড়লেন, ‘মনে রাখতে মাঠে খেলবে এগারো বনাম এগারো। প্রত্যেকেই গুরুত্বপূর্ণ ফুটবলার।’ হাতে আর কয়েক ঘন্টা। তারপরেই মহারণে নামবে কলকাতার দুই প্রধান। আর আপাতত সেই যুদ্ধের দুই সেনাপতির দিকেই তাকিয়ে দুই দলের সমর্থকগণ।