সতীর্থদের হাতে-কলমে ওয়ান টাচ শিখিয়ে দিচ্ছেন মোহন বাগান স্প্যানিশ মিডফিল্ডার হোসেবা বেইতিয়া। শুক্রবার সকালে সল্টলেক স্টেডিয়ামের ট্রেনিং গ্রাউন্ডে সবুজ-মেরুন অনুশীলনের এক টুকরো দৃশ্য। সেটা লেন্সবন্দি করে যদি বারবার রিওয়াইন্ড করা যায়, তাহলে বোঝা যাবে, বেইতিয়ার মধ্যে নেতৃত্ব দেওয়ার সহজাত ক্ষমতা রয়েছে। লিড করে দলকে একসূত্রে বেঁধে রাখার দক্ষতা আছে। শুক্রবার অনুশীলনে মোহন বাগান ফুটবলারদের মুখ থেকে ভেসে এল ‘হোসেবা-হোসেবা চিৎকার।’
রবিবার কলকাতা লিগের ডার্বিতে সেনেগালের কাসিম আইদারার সঙ্গে হোসেবা বেইতিয়ার দ্বৈরথ আকর্ষণীয় পর্যায়ে চলে যেতে পারে বলে ফুটবলবোদ্ধাদের ধারণা। ডার্বিতে যখন সাত স্প্যানিশ খেলবেন তখন কলকাতার ফুটবলে আফ্রিকার পতাকা উড়িয়ে রাখার দায়িত্ব এক সময়ে জার্মানির নীচের সারির দলে খেলা কাসিমের হাতে। ভারতে খেলতে আসার আগে এস্তোনিয়ার নীচের সারির ক্লাবে বেশ কয়েক বছর খেলেছিলেন তিনি।
বিদেশ বিঁভুই থেকে এসে রবিবার ভারতীয় ফুটবলের সবচেয়ে হাই-ভোল্টেজ ম্যাচ খেলতে নামবেন। বেইতিয়াকে দেখে কে বুঝবে! ডানদিকের কানের পাশে লাল উল্কি। গায়ের রঙ দুধ সাদা। ছ’ফিট উচ্চতা। আগ্রাসী মনোভাব পরতে পরতে।
এক ইউরোপিয়ান এজেন্টের ভারতীয় প্রতিনিধি মারফৎ ২০১৭ সালের অক্টোবরে রঞ্জিত বাজাজ যোগাযোগ করেন কাসিম আইদারার সঙ্গে। অক্টোবর মাস এসে গেলেও সেনেগালের এই ফুটবলারটি তখন ক্লাব পাননি। বাজাজ যোগাযোগ করলে সেদিন আইদারার মন্তব্য ছিল,‘আমি খুবই হতাশ। ভিয়েতনামের ক্লাবেও সুযোগ পেলাম না। অবসরের কথা ভাবছি।’ তখন বাজাজ তাঁকে বোঝান। সেবারই আই লিগে প্রথম উঠেছে মিনার্ভা এফসি। ২০১৭-২০১৮ মরশুমে মিনার্ভা এফ সি’র হয়ে দারুণ খেলেন আইদারা। গত মরশুমে তিনিই ছিলেন ইস্ট বেঙ্গলের প্রথম চুক্তিবদ্ধ ফুটবলার। আইদারা বলছেন, “হোসেবা বেইতিয়ার খেলার ধরন সম্পর্কে আমি ওয়াকিবহাল। সুযোগ পেলে যথাযথ দায়িত্ব পালন করব”।