লোকসভা নির্বাচনে অন্যতম প্রধান ইস্যু ছিল এনআরসি। সেই নিয়ে টালমাটাল চলছিল। অবশেষে এইদিন আসামে এনআরসি নিয়ে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হল। এই তালিকা থেকে প্রায় ১৯ লক্ষ মানুষের নাম বাদ পড়েছে। এইবার এনআরসি নিয়ে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন কংগ্রেস সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী।
তিনি এই প্রসঙ্গে জানান, “আমার বাবা বাংলাদেশি ছিল, আমাকেও বের করে দিন।” এনআরসির চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের পর দিল্লির বিজেপি সভাপতি মনোজ তিওয়ারি বলেন, দিল্লীতেও এনআরসি করা হবে। আর তাতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন এই কংগ্রেস নেতা। এ প্রসঙ্গে লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা বলেন, বলা হচ্ছে দিল্লী-সহ গোটা দেশে এনআরসি করবে সরকার। কেন্দ্রের সমালোচনা করে অধীরের দাবি, ধর্ম নিরপক্ষে পদ্ধতিতে এনআরসি করা উচিত।
এনআরসি নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেছে কংগ্রেসের অন্যান্য নেতারা। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ত্রুটিমুক্ত এনআরসি তালিকা প্রকাশ করতে ব্যর্থ হয়েছেন বলে অমিত শাহকে তোপ দেগে এনআরসি-র কড়া সমালোচনা করলেন অসমে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “এনআরসি যে প্রক্রিয়ায় তালিকা প্রকাশ করে তাতে অখুশি আমি। অনেক ভারতীয়র নাম বাদ পড়েছে।” পাশাপাশি তরুণ গগৈয়ের দাবি, অনেক বিদেশির নাম নথিভুক্ত হয়েছে। যার ফলে বেশি সমস্যা তৈরি হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তরুণ গগৈ।
এই নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে অল আসাম স্টুডেন্ট ইউনিয়ন (আসু)। স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হল, এই তালিকা ত্রুটিপূর্ণ। সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়ে রাখল অসম স্টুডেন্ট ইউনিয়ন। আসামের ভূমিপুত্ররাই এনআরসি তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হবে এই দাবি গোড়া থেকে তুলে এসেছে আসু। আজ সাংবাদিক বৈঠক করে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক লুরিনজ্যোতি গগৈ জানান, এনআরসি-র চূড়ান্ত তালিকায় খুশি নই। এটি অসম্পূর্ণ এনআরসি হয়েছে। ত্রুটিমুক্তের দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়া হবে। সারা দেশে এই এনআরসি নিয়ে দেশে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।