প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা স্বামী চিন্ময়ানন্দের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ জানাতেই নিখোঁজ হয়েছিলেন উত্তরপ্রদেশের শাহজাহানপুরের বাসিন্দা এবং স্থানীয় ‘এসএস ল কলেজ’-এ স্নাতকোত্তর স্তরের এক ছাত্রী। মনে করা হচ্ছিল এই অন্তর্ধান স্বাভাবিক নয়। বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে মুখ খোলার জন্যেই যে তাঁকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না সেটা বেশ স্পষ্ট হয়েছিল। অবশেষে ৬ দিন পরে রাজস্থান থেকে উদ্ধার হলেন শাহজাহানপুরের নিখোঁজ তরুণী।
চিন্মায়ানন্দের বিরুদ্ধে ওই তরুণীকে অপহরণের অভিযোগ তুলেছিলেন তাঁর বাবা। দায়ের করা হয় যৌন নির্যাতনের অভিযোগও। আইনজীবীরা ঘটনার গতিমুখ দেখে জানান যে, শাহজাহানপুরের এই ঘটনাটিও আরও একটি ‘উন্নাও মামলায়’ পরিণত হতে পারে। এর পরেই সুপ্রিম কোর্ট নিজের দায়িত্বে ঘটনাটির সুয়ো-মোতো করবে বলেও জানায়। পুলিশ জানিয়েছে, অদ্ভুত ভাবে এই ঘটনাটি সুপ্রিম কোর্ট নিজের দায়িত্বে নেওয়ার ঠিক আগেই উদ্ধার করা হয়েছে তরুণীকে।
গত ২৪ আগস্ট সোশ্যাল মিডিয়ায় যৌন হেনস্থার অভিযোগ করেন শাহাজাহানপুরের এসএস ল কলেজের ওই ছাত্রী।ভিডিও বার্তায় প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও বিজেপির প্রভাবশালী নেতা স্বামী চিন্ময়ানন্দের নাম না করে ২৩ বছরের ওই ছাত্রী বলেন, “আমি একা নই,কলেজের পরিচালন সমিতির প্রভাবশালী ব্যক্তিরা অনেক ছাত্রীর জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে। দীর্ঘদিন ধরে এক প্রভাবশালী নেতা ও সন্ন্যাসী অনেক মেয়ের জীবন নষ্ট করেছে। আমার কাছে ওঁর বিরুদ্ধে সমস্ত রকম তথ্য প্রমাণ আছে। কিন্তু উনি যথেষ্ট প্রভাবশালী হওয়ার কারণে পুলিশ বা প্রশাসন– কেউই ওঁর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেবে না।”ওই ছাত্রী আরও জানিয়েছিলেন, তাঁর কাছে স্বামী চিন্ময়ানন্দের বিরুদ্ধে যথেষ্ট তথ্য-প্রমাণ থাকায় তিনি ও তাঁর পরিবার হুমকির মুখে পড়েছেন বারবার। এর পরে তরুণীর পোস্ট করা ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পরেই মেয়ে নিখোঁজ হয়েছে বলে অভিযোগ তাঁর পরিবারের। এর পরেই পরিবারের পক্ষ থেকে স্বামী চিন্ময়ানন্দের বিরুদ্ধে শাহাজানপুর পুলিশ স্টেশনে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিলো।