জামাইকায় ভারতের সামনে ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে টেস্ট সিরিজ জয়ের হাতছানি। এবং এটা শুধু একটা সিরিজ নয়, এখান থেকেই দু’বছরের বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে অভিযান শুরু করেছে বিরাট কোহলিরা। দুটো টেস্ট জিতলে ১২০ পয়েন্ট পাবে ভারত। তাই ওয়েস্ট ইন্ডিজে তিন ফর্ম্যাটে সিরিজ জয়ের পাশাপাশি সেই ১২০ পয়েন্ট পাওয়াটাও এখন বড় লক্ষ্য ভারতের।
জামাইকায় স্বাভাবিক ভাবেই ভারত ফেভারিট। গতির উইকেট হবে বলেই আভাস পাওয়া যাচ্ছে। সে রকম হলেও টিম ইন্ডিয়ার অ্যাডভান্টেজ। বিশেষ করে অ্যান্টিগায় দ্বিতীয় ইনিংসে যে ভাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১০০ রানে অল আউট করে দিয়েছিলেন জশপ্রীত বুমরা, ইশান্ত শর্মা, মহম্মদ সামিরা, তাতে আবার গতির ঝড়ের মোকাবিলা করতে হবে ক্যারিবিয়ান ব্যাটসম্যানদের।বুমরাকে নিয়ে অ্যান্ডি রবার্টস থেকে কার্টলে অ্যামব্রোজরা ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। অনেকেই মনে করছেন বুমরাই জামাইকায় ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশ করে দেওয়ার জন্য ভারতের তুরুপের তাস। নিজের ডেলিভারিতে আউট সুইং যোগ করেছেন বুমরা। সেটাই তাঁকে অপ্রতিরোধ্য করে তুলেছে। অন্তত ক্রিকেট মহলের একটা বড় অংশের তেমনই ধারণা।
শুক্রবার দ্বিতীয় টেস্ট শুরুর আগে হনুমার মোটিভেশন বেড়ে যেতে পারে ভিভিএস লক্ষ্মণের দরাজ সার্টিফিকেটে। লক্ষ্মণ বলেছেন, ‘প্রথম টেস্টে হনুমা বিহারি যে রকম অ্যাপ্রোচ নিয়ে ব্যাট করেছে, তাতে আমি মুগ্ধ হয়ে গিয়েছি। অহেতুক ঝুঁকি না নিয়ে খোলামনেই ব্যাট করেছে ও। শুধু এই টেস্টেই নয়, ইংল্যান্ডে গত বছর অভিষেক নেওয়ার পর থেকে হনুমা দেখিয়েছে যে, ও টেস্ট ফর্ম্যাটে মানিয়ে নিয়েছে।’ ভারতকে আস্থা যোগাচ্ছেন হনুমা বিহারীও। সেঞ্চুরি হারালেও টিমের আস্থা অর্জন করেছেন। এবং একই সঙ্গে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টের আগে মিডল অর্ডারের সমস্যা অনেকটাই মিটিয়ে দিয়েছেন তিনি ।
এক দিকে হনুমার জন্য যেমন মুগ্ধতা, তেমনই লক্ষ্মণ হতাশা লুকোননি লোকেশ রাহুলকে নিয়ে। তাঁর সাফ কথা, ‘রাহুল নিশ্চয়ই নিজের ইনিংসের জন্য হতাশ হবে। আসলে ও দুই ইনিংসে যথেষ্ট পরিশ্রম করেছে, কিন্তু আউট হয়ে যায়।’ আসলে ওপেনার হিসেবে অ্যান্টিগায় দু’ইনিংসে ওপেনার হিসেবে ভালো শুরু করেছিলেন রাহুল। দুই ইনিংসে তাঁর রান ৪৪ ও ৩৮। কিন্তু অন্য ওপেনার মায়াঙ্ক আগওয়াল ব্যর্থ। তাঁর দুই ইনিংসে রান ৫ ও ১৬। পেসার দিয়ে পাল্টা দেওয়ার জন্য তৈরি হচ্ছে ওয়েস্ট ইন্ডিজও। তাদের বাজি হতে পারেন কিমো পল। চোটের জন্য প্রথম টেস্টে খেলতে পারেননি তিনি। দ্বিতীয় টেস্টে তাঁকে টিমে ফেরানো হচ্ছে। ক্যারিব্য়ান স্কোয়াডে এই একটাই বদল। মিগুয়েল কামিন্সের জায়গায় টিমে নিয়ে আসা হয়েছে তাঁকে। কিন্তু এক জন কিমো পলকে নিয়ে ভারতের মতো শক্তিশালী ব্যাটিং লাইন আপ ভাঙা সম্ভব নয় বলেই মনে করছে ক্রিকেট মহল। ভারতের সবচেয়ে বড় সুবিধে অজিঙ্ক রাহানের রানে ফিরে আসা। দু’ইনিংসে রাহানে করেছিলেন ৮১ ও ১০২। তিনিই টেস্টের সেরা। রান পেয়েছেন বিরাট কোহলি ও হনুমা বিহারিরা তো আছেনই।