বিশ্বজয় করেই দেশে ফেরার বিমান ধরেছেন পি ভি সিন্ধু৷ সোমবার রাতেই দেশে ফিরেছেন ভারতের সোনার মেয়ে৷ ফলে বিজয়োৎসব সময় পাননি পিভি সিন্ধু৷ তবে দেশে পা রেখেই ২০২০ টোকিও অলিম্পিককে পাখির চোখ করা শুরু করে দিলেন হায়দ্রাবাদী। জানা গেছে এবার নতুন অস্ত্র নিয়ে টোকিও অলিম্পিকে নামবেন তিনি।
ভবিষ্যতের লক্ষ্য জানতে চাওয়া হলে সিন্ধু বলেন, ‘আমি আরও বেশি পরিশ্রম করে দেশকে পদক দিতে চাই।’ আগামী বছর জাপানের রাজধানী টোকিও শহরে বসছে ২০২০ অলিম্পিকের আসর৷ হায়দরাবাদে সাংবাদিক বৈঠকে সিন্ধু বলেন, ‘নিজের খেলায় আরও বৈচিত্র আনতে চাই। নতুন কিছু শটও শিখে অলিম্পিকে নামতে চাই। পরিস্থিতি অনুযায়ী রণকৌশল ঠিক করে খেলার ধরনে পরিবর্তন আনতে হয়। সেটার উপরেই বিশেষ জোর দেব।’
বিশ্বজয়ের পরে বারেবারে গোপী স্যরের প্রতি তাঁর অকুণ্ঠ কৃতজ্ঞতার কথা বলেছেন সিন্ধু। গোপী স্যরের কাছে কৃতজ্ঞ থাকার পাশাপাশি নতুন কোচ কিম জি হুনের কথাও বললেন সিন্ধু। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রাক্তন খেলোয়াড় কিম এ বছরই কোচিং দলে যোগ দিয়েছেন গোপীর সুপারিশেই। ‘‘স্পোর্টস অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (সাই), ব্যাডমিন্টন অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়া (বাই), ক্রীড়ামন্ত্রক এবং সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে চাই। ওঁরা প্রত্যেকে খুব সাহায্য করেছেন,’’ বললেন সিন্ধু। আর পাশে দাঁড়ানো গোপী স্যরের মন্তব্য, ‘‘সোনার পদকটার জন্য অনেক দিন অপেক্ষা করতে হয়েছে ঠিকই। কিন্তু যে ক’টা পদক সিন্ধু জিতেছে, তার প্রত্যেকটিই বিশেষ কৃতিত্বের।’’ যোগ করলেন, ‘‘সিন্ধু এর আগে ব্রোঞ্জ, রুপো জিতেছে। প্রশ্নটা ছিল, সোনা জেতা নিয়ে। অলিম্পিক্সের আগে এই সোনা জয় দারুণ এক প্রাপ্তি।’’
বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েছিলেন সিন্ধু। পুরস্কার বিতরণীর পরে জাতীয় সঙ্গীত যখন বাজার সময় চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি৷ টুইটারে এ কথা নিজেই জানিয়েছিলেন সিন্ধু৷ এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমার চোখে জল এসে গিয়েছিল কারণ আবেগপূর্ণ একটা মুহূর্ত ছিল৷ আমার কাছে একটা মুহূর্তটা চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে৷’ এর আগের দু’বার বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে দু’টি রুপো এবং দু’টি ব্রোঞ্জ জিতেছেন সিন্ধু। এবার পদকের রঙ বদল করে তা সোনায় পরিণত করেন দেশের এক নম্বর শার্টলার৷