রিজার্ভ ব্যঙ্কের লভ্যাংশের টাকা কেন্দ্রের পকেটে ঢোকা নিয়ে ইতিমধ্যেই সরব হয়েছে দেশের সমস্ত বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। বুধবার মেয়ো রোডের মঞ্চ থেকে সেই ইস্যুকেই কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকেবিঁধলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপির বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়ে তিনি বলেন, ‘দেশের বিপদের জন্য সরিয়ে রাখা রিজার্ভ ব্যঙ্কের এমার্জেন্সি টাকা নিয়ে নিল। দেশের যদি কোনও ক্ষতি হয় তখন আর টাকা থাকবে না। দেশটাকে শেষ করে দিচ্ছে এরা’।
বুধবার তৃণমূল ছাত্রপরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে শুরু থেকেই কেন্দ্রীয় বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে সরব হন মমতা। তীব্র গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানিয়ে মমতা বলেন, ‘ধর্মান্ধতার বাজার চলছে, ধর্মের নামে ভেজাল ধর্মের বাজার চলছে। ওরা স্বদেশ থেকে বিদেশ ঘুরে বেড়াছে। আর এই দেশে কিছু অবসরপ্রাপ্ত লোককে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। তার তো কোনও দায়বদ্ধতা নেই। হঠাৎ একদিন বলে দিল ১ লক্ষ ৭৬ হাজার কোটি টাকা চাইছে দিয়ে দাও। কার টাকা কিসের টাকা। দেশের টাকা। জানার দরকার নেই। ওই এমার্জেন্সি টাকা সরিয়ে রাখা হয়। যখন দেশে বিপদ আসে তখন এটা কাজে লাগে। আজ সেটাও নেই। ফলে দেশের যদি কোনও ক্ষতি হয় তখন আর টাকা থাকবে না। সব চলে গেছে। আজ কারও কথা বলার অধিকার নেই।’
এর পাশাপাশি কাশ্মীর ইস্যুতেও সরব হতে দেখা যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তিনি বলেন, ‘কাশ্মীর নিয়ে এতকিছু হয়েছে কেউ কথা বলতে পেরেছেন? মিডিয়াকে ঢুকতে দেয়? কাউকে দেখতে দিয়েছে? রিপোর্ট করতে দিয়েছে? কাউকে কথা বলতে দেয়নি। কাশ্মীরে বন্দুকের নল দিয়ে চেপে রেখে দিয়েছে।’ এই ইস্যুতেই সিপিএমকে একহাত নিতে ছাড়েননি মমতা। তিনি বলেন, ‘কোথায় বন্ধু? ভিয়েতনামের মুক্তিযুদ্ধে কলকাতায় আওয়াজ উঠেছিল। তোমার নাম, আমার নাম, ভিয়েতনাম, ভিয়েতনাম। আজ কোথায় সেই সিপিএম? আপনার ভূমিকা কোথায়? রামে বামে এক হয়ে গেলেন? সব সিপিএমের হার্মাদরা এখন বিজেপির জল্লাদ।’