অর্থনীতির হাল ফেরাতে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের টাকা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। আর এর বিরুদ্ধেই সুর চড়াচ্ছেন বিরোধীরা। তাঁদের দাবি, নরেন্দ্র মোদী নিজেই অর্থনীতিতে দুর্যোগ ডেকে এনেছেন। এখন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ভাঁড়ার থেকে টাকা সরিয়ে সুরাহা হবে না। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বলেন, কী ভাবে নিজেদের তৈরি অর্থনৈতিক দুর্যোগের সমাধান হবে, সে বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী দিশাহারা। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের থেকে টাকা চুরি করে কোনও লাভ হবে না। এরপর তাঁকে পাল্টা আক্রমণ করতে ছাড়েননি নির্মলা সীতারমন৷
এদিন আসরে নামলেন কংগ্রেস নেতা কপিল সিব্বল৷ তাঁর কথায়, মন্ত্রীকে জবাব দিতে হবে কেন রিজার্ভ ব্যাঙ্ক থেকে সরকারের ১.৭৬ লাখ কোটি টাকা নেওয়ার প্রয়োজন হচ্ছে? সীতারমন মঙ্গলবার কংগ্রেস নেতা রাহুলকে আক্রমণ করেন৷ বলেন, যখনই রাহুল গান্ধী চোর, চুরি, এই সব শব্দ ব্যবহার করেন, তখন আমার একটাই কথা মনে আসে। ভোটের আগেও উনি চোর-চোর-চুরি-চুরি অনেক বার বলেছেন। মানুষ ওঁকে জবাব দিয়েছেন। আবার সে সব শব্দ ব্যবহারে কী লাভ তাঁর?
আজ কপিল সিব্বল বলেন, নির্মলার আক্রমণ পরিণত মানসিকতার লক্ষণ নয়৷ অর্থমন্ত্রীকে জবাব দিতে হবে, কেন সরকারের আরবিআই থেকে ১.৭৬ লাখ কোটি টাকা নেওয়ার প্রয়োজন হচ্ছে? অর্থমন্ত্রীকে জনগণের সামনে বিবৃতি দিতে হবে যে, দেশের অর্থনীতি কোথায় দাঁড়িয়ে৷ সিব্বল মনে করেন, এটা সঙ্কট মোকাবিলার সঠিক পদ্ধতি নয়৷
তবে রাজনৈতিক ভাবে নির্মলা যতই তীক্ষ্ণ জবাব দিন, বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে কিন্তু প্রশ্ন উঠতে পারে এ বার। কারণ রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন গভর্নর রঘুরাম রাজন, ডি সুব্বারাওদের স্পষ্ট মত ছিল, উদ্বৃত্ত অর্থ চরম আর্থিক সঙ্কটে কাজে লাগতে পারে। সেই টাকায় হাত দেওয়া উচিত হবে না। উর্জিত পটেল, বিরল আচার্যরাও এই প্রশ্নেই আপত্তি তুলে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক থেকে সরে যান। কংগ্রেসের অভিযোগ, শক্তিকান্ত দাসকে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নরের পদে বসিয়ে, কেন্দ্রীয় বোর্ডে আরএসএস নেতা এস গুরুমূর্তিতে মনোনীত করে মোদী সরকার ভাঁড়ার থেকে টাকা সরিয়ে নেওয়ার রাস্তা করেছে।