কাশ্মীর ইস্যুতে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে পাকিস্তানের। এরমধ্যেই আজ পাক রেলমন্ত্রী শেখ রশিদের বক্তব্যে পাওয়া গেল যুদ্ধের ইঙ্গিত। রাওয়ালপিন্ডিতে এক অনুষ্ঠানে শেখ রসিদ বলেন, “কাশ্মীরের পরিস্থিতি যুদ্ধের দিকে যেতে চলেছে। অক্টোবর-নভেম্বরেই যুদ্ধের আশঙ্কা রয়েছে।” রশিদ কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, পাক অধিকৃত কাশ্মীরে আঘাত এলে যুদ্ধ অবশ্যম্ভাবী। তবে, তাঁর সতর্কবার্তা এই যুদ্ধ শুধুমাত্র দুটো দেশের মধ্যে হবে না। দক্ষিণ-এশিয়ায় এর প্রভাব পড়বে। এমনকি ভূ-মানচিত্র পালটে যেতে পারে বলেও হুঁশিয়ারি দেন পাক রেলমন্ত্রী।
ভারতকে কোণঠাসা করতে আন্তর্জাতিক মঞ্চে অনেক কাঠ-খড় পোড়ায় পাকিস্তান। কিন্তু কাজের কাজ হয়নি। এমনকি ১৯৭১ সালের পর প্রথম রাষ্ট্রসঙ্ঘে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করাতে সমর্থ হয় পাকিস্তান। কিন্তু চূড়ান্ত ফয়সলা না হওয়ায় কার্যত নিজেরাই কোণঠাসা হয়ে পড়ে ইমরান খানের সরকার। আমেরিকা, রাশিয়া, ব্রিটেন ও ফ্রান্স ভারতের হয়েই সওয়াল করেন বলে জানা যায়। এমনকি আজ রাশিয়াও স্পষ্ট জানিয়ে দেয় কাশ্মীর ইস্যু ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়।
রাষ্ট্রসঙ্ঘের এই আচরণে বেশ ক্ষুব্ধ পাকিস্তানি নেতারা। শেখ রশিদ তো বলেই ফেলেন, ভারত সম্পর্কে বরাবরই উদাসীন রাষ্ট্রসঙ্ঘ। অনুচ্ছেদ ৩৭০ –র বিশেষাধিকার প্রত্যাহারের পরই ভারতের সঙ্গে সব ধরনের কূটনৈতিক সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করে পাকিস্তান। এ বার ভারতের জন্যই পাকপাকিভাবে আকাশপথ বন্ধ করার ভাবনা চিন্তা করছে ইমরানের সরকার।
উল্লেখ্য, ভারতের বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাদের মন্তব্যকে হাতিয়ার করে রাষ্ট্রসঙ্ঘে দরবার হতে চলেছে পাকিস্তান। জানা যাচ্ছে সম্প্রতি কাশ্মীর নিয়ে রাহুল গান্ধীর নানা মন্তব্য উল্লেখিত হয়েছে তাদের লিখিত অভিযোগে। এ নিয়ে সরব হয় কংগ্রেস। আজ রাহুল গান্ধী নিজেই জানিয়ে দেন, কাশ্মীর সমস্যা ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। পাক মদতেই সেখানে হিংসার বাতাবরণ তৈরি হয়েছে।
