নাগরিক পঞ্জী বা এনআরসির জেরে আসামের বাসিন্দারা মুখোমুখি হয়েছেন তীব্র সমস্যার। প্রত্যেক দিন তাঁদের কাটাতে হচ্ছে তীব্র উৎকণ্ঠার সঙ্গে। আগামী শনিবারেই কি শনির দশা? কারণ আগামী ৩১ অগাস্ট প্রকাশিত হচ্ছে নাগরিক পঞ্জীর চূড়ান্ত তালিকা।
এনআরসি ঘোষিত হওয়ার পর থেকেই দুর্ভোগের সম্মুখীন মানুষ। এবার তার সঙ্গে যোগ হয়েছে মারাত্মক হীনমন্যতা। খসড়া তালিকায় বাদ পড়াদের বেশির ভাগই এখন মনোরোগের শিকার। ফলে অনেকেই বেছে নিচ্ছেন আত্মহত্যার পথ। সমীক্ষায় উঠে এসেছে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য।
আসাম সংখ্যালঘু ছাত্র সংস্থা বা আমসু-র অভিযোগ, বেছে বেছে সংখ্যালঘুদেরই নির্যাতন করা হচ্ছে। সোমবার আমসু-র তরফে আসামের এনআরসি সমন্বয়ক প্রতীক হাজেলার কাছে ফের দাবি করা হয়, চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালনে। কিন্তু তাতেও মিটছে না উদ্বেগ।
৩১ তারিখ এনআরসি চূড়ান্ত তালিকা নিয়ে তাই পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক মহল উদ্বিগ্ন। এর আগেও বাংলায় ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেস প্রতিনিধি পাঠিয়েছিল শিলচরে। তাদের বিমান বন্দরেই আটকে দেয় আসাম প্রশাসন। সেই পদক্ষেপ ঘিরে তৈরি হয় রাজনৈতিক জটিলতা। তৃণমূলের পাশাপাশি এই প্রতিবাদে সামিল বিরোধী সিপিএম ও কংগ্রেস।
জাতীয় নাগরিকপঞ্জির চূড়ান্ত তালিকায় নাম না থাকলে এক মুহূর্তে দেশহীন নাগরিক বলে চিহ্নিত হয়ে যাবেন। তবে যাঁর নাম উঠবে না তাঁর পরবর্তী আইনগত সুবিধা থাকবে। অভিযোগ, এমন বহু মানুষের নাম কাটা পড়েছে. যারা দীর্ঘ সময় ধরে অসমে বসবাস করেন।
এনআরসি তালিকায় নাম ওঠেনি সীমান্তরক্ষী জওয়ানের, সেনা অফিসারের। বহু সংখ্যালঘু মুসলমানের নাম বাদ পড়ায় তৈরি হয়েছে বিস্তর ক্ষোভ। পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে, এনডিএফবি (সংবিজিৎ) সশস্ত্র গোষ্ঠীর তরফে হুমকিতে। তারা দাবি করেছে, বোড়ো অধ্যুষিত এলাকায় অ-অসমীয়াদের কোনওভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। কোনও বোড়োকে অসম ছাড়া করলেই চরম প্রতিশোধ নেওয়া হবে