লোকসভা নির্বাচনের আগেই আশঙ্কা করা হয়েছিল যে, মহারাষ্ট্রে হয়ত শরিক দল শিবসেনার থেকে বিজেপি আলাদা হয়ে যাবে। তখন সেটা না হলেও এবার সেটাই সত্যি হতে চলেছে। এমন খবরই বর্তমানে ঘুরপাক খাচ্ছে মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক মহলে৷ সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, আসন্ন নির্বাচনে দীর্ঘদিনের জোটসঙ্গী শিব সেনার সঙ্গে জোট ভাঙতে চলেছে বিজেপি৷ রাজ্যের ২৮৮ আসনে একাই লড়তে চলেছে গেরুয়া শিবির৷ এমনকী, সেই লড়াইয়ের ব্ল-প্রিন্টও নাকি ইতিমধ্যে তৈরি করে ফেলেছেন দেবেন্দ্র ফড়ণবিসরা।
সূত্রের খবর, বিধানসভায় একক ক্ষমতায় লড়াইয়ের জন্য নাকি ২৮৮টি আসনের জন্য প্রার্থী খোঁজার প্রস্তুতি শুরু করেছে পদ্ম শিবির৷ জানা গিয়েছে, মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবিসের একটি বক্তব্যের পর থেকে বিষয়টি নিয়ে আরও জল্পনা দানা বেঁধেছে৷ ধন্দ বাড়িয়ে সোমবার তিনি জানান, এবারের আসন বণ্টন প্রক্রিয়ায় বিজেপির থেকে সামান্য কিছু আসন কম পেতে পারে শিবসেনা৷ তিনি বলেন, ‘‘বিজেপি ও শিবসেনার যথাক্রমে ১২২ ও ৬৩ জন প্রতিনিধি রয়েছে৷ ফলে এখানে কোনও বিতর্ক নেই৷ মিত্রপক্ষকে দেওয়ার পর যে আসনগুলি থাকবে, তা আমরা নিজেদের মধ্যে বণ্টন করব৷ সেক্ষেত্রে বাকি আসনগুলি সমান ভাগেই ভাগ হবে, নাকি তা হবে না, এই বিষয়ে কোনও আলোচনা হয়নি৷ কিন্তু আমরা ভারসাম্য বজায় রাখার চেষ্টা করব৷’’
যদিও শিবসেনার সঙ্গে জোট ভাঙার বিষয়ে মুখ খোলেননি মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী৷ কিন্তু এখানেই তৈরি হয়েছে নয়া প্রশ্ন৷ লোকসভা নির্বাচনের আগে শিবসেনা নেতৃত্বের অবস্থানকে মাথায় রেখে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা, কম আসন পেলে আদৌ কি বিজেপির সঙ্গে জোটে লড়তে রাজি হবেন শিবসেনা সুপ্রিমো উদ্ধব ঠাকরে? কারণ, গত ফেব্রুয়ারি মাসে লোকসভা নির্বাচনের আগে হওয়া একটি সাংবাদিক সম্মেলনে বিজেপি ও শিবসেনা, উভয় নেতৃত্বই সাফ জানিয়ে দিয়েছিল যে, আসন্ন নির্বাচনগুলিতে দু’দল সমসংখ্যক আসনে লড়বে৷ তবে তারপর চিত্রনাট্যে অনেক পরিবর্তন এসেছে৷ তবে রাজনীতিতে না আঁচালে কোনোকিছুই বিশ্বাসযোগ্য নয়। তাই আগামী ভবিষ্যতে দুই দল কি সিদ্ধান্ত নেয়, সেই দিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।