বাংলার ক্ষমতায় এসেই শিল্পের উন্নতিকে পাখির চোখ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর উদ্যোগেই নেওয়া হয়েছে একাধিক উদ্যোগ যার জেরে বাম আমলের তুলনায় অনেক গুণ এগিয়েছে বাংলার শিল্প। গতকাল বিধানসভায় রাজ্যের অর্থমন্ত্রী ড. অমিত মিত্র জানালেন রাজ্যে প্রসার ঘটছে ক্ষুদ্র এবং ছোট এবং মাঝারি শিল্পের।
অমিত জানালেন, বাংলার ক্ষুদ্র, ছোট এবং মাঝারি শিল্পগুলিকে ঋণ দেওয়ার জন্যে দেশের মধ্যে প্রথম বাংলা। এই শিল্পগুলির সাফল্য এবং তার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে অমিত বলেন, বাংলায় শিল্প চলছে সাফল্যের সঙ্গে। বিগত ৮ বছর ধরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নানারকম উন্নয়নমূলক কর্মসূচীর জন্যে বাংলায় অভূতপূর্ব ভাবে শিল্পের প্রসার ঘটেছে।
অর্থমন্ত্রী আরও বলেছেন, ২০১১ সালে রাজ্যে ক্লাস্টারের সংখ্যা ৪৯। এখন তা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৫২০-তে। ২০১০ সালে ঋণের পরিমাণ ছিল ৭ হাজার ২৩৬ কোটি টাকা। ২০১৭-১৮ সালে ঋণ বৃদ্ধি হয়ে দাঁড়িয়েছে ৪৪.৫৯ কোটি টাকা। এছাড়াও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে ক্ষুদ্র এবং মাঝারি শিল্পের জন্যে কনক্লেভ করা হয়েছে। যেখানে বিভিন্ন জেলার প্রায় ৪৫০০ ক্ষুদ্র, তাঁত এবং হস্তশিল্পীরা অংশগ্রহণ করেন। তাঁদের দেওয়া হয় দক্ষতা বৃদ্ধির প্রশিক্ষণ।
সূত্রের খবর, বিপণন পরিকাঠামোতেও নজর দেওয়া হচ্ছে।উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে ক্ষেত্রভিত্তিক পার্ক এবং মেগা ক্লাস্টারের।বানতলায় হয়েছে এশিয়ার বৃহত্তম চর্মনগরী। হাওড়ায় হয়েছে দেশের বৃহত্তম হোশিয়ারি পার্ক, ডোমজুড়ে জেমস অ্যান্ড জুয়েলারি পার্ক হয়েছে।