‘কেন্দ্রীয় সংস্থাকে ব্যবহার করে তৃণমূল ভাঙানোর চেষ্টা করছে বিজেপি। বিজেপিতে যোগ না-দিলে জেলে ভরার ভয় দেখাচ্ছে তারা। আমি জেলে যেতে রাজি আছি, কিন্তু বিজেপির সাম্প্রদায়িক রাজনীতি মেনে নিতে রাজি নই’। বুধবার ধর্মতলায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসে এমনই হুঙ্কার ছাড়লেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বুধবার মেয়ো রোডের গান্ধীমূর্তি সংলগ্ন সভাস্থলে এদিন ছিল কানায় কানায় পূর্ণ। বিপুল জমায়েতে দাঁড়িয়ে মমতার বার্তা রাজ্যের সব ছাত্র যুবদের কাছে ভয় পাবেন না। ভয়ে বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান। প্রতিবাদে সরব হন। বিজেপিকে আক্রমণ শানিয়ে মমতা বলেন, ‘১০৭ জন বিধায়কের নাম নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আগে ৭ জনের নাম বার কর। এত সস্তা না। আমরা বাংলায় লড়াই করি। তাই ওদের বাংলা চাই। আজ আমার ভাইকে ডেকেছে। কাল আমাকে ডাকবে। আমি জেলে যেতে রাজি আছি, কিন্তু বিজেপির সাম্প্রদায়িক রাজনীতি মানতে রাজি নই’। মমতা আরও বলেন, ‘জেলে গেলে ভাবব স্বাধীনতার লড়াই লড়ছি। দেশ পরাধীন হয়ে গেছে’।
এদিন তৃণমূলনেত্রী কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে দেশে একনায়কতন্ত্র চালানোর অভিযোগ তোলেন। তিনি বলেন, ‘দেশে প্রেসিডেন্সিয়াল ডেমোক্রেসি চালু করার চেষ্টা হচ্ছে। এরা কারও কোনও কথা শোনে না। মানুষের কথা বলার অধিকার নেই। সংবাদমাধ্যমগুলোকে সব কিনে নিয়েছে’। এই প্রেক্ষিতেই মমতা বলেন, ‘বিজেপি বাংলা দখল করতে চাইছে কারণ, বাংলা প্রতিবাদ করে, লড়াই করে। জানিয়ে দেন, তিনি জেলে যেতে তৈরি, কিন্তু বিজেপির মতো সাম্প্রদায়িক দলের কাছে কখনই মাথা নত করতে তৈরি নন’। মমতার কথায়, ‘এজেন্সিকে দিয়ে ভয় দেখিয়ে রাজত্ব করছে কেন্দ্রীয় সরকার। বিরোধী দলগুলিকে ভয় দেখানো হচ্ছে, রাতের অন্ধকারে এজেন্সিকে টাকা দেওয়া হচ্ছে। বিভিন্ন দলের সাংসদ-বিধায়কদের যখন তখন ডেকে পাঠানো হচ্ছে’। তৃণমূল সুপ্রিমো আরও বলেন, ‘বিজেপি শুধু ধর্মের বাজার বসিয়েছে। বাংলার মানুষকে মনে রাখতে হবে, বিজেপি খাবার, আশ্রয় দেবে না’।