ক্যারিবিয়ান সফরে টি-২০ ও ওয়ানডেতে ভাল বল করার পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ৭ রানে ৫ উইকেট তুলে নিয়েছিলেন যশপ্রীত বুমরাহ। তিনিই এশিয়ার একমাত্র বোলার, যিনি দক্ষিণ আফ্রিকা, ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে এক ইনিংসে ৫ উইকেট পেয়েছেন। আর বুমরাহর ক্রিকেটবোধ ও আগ্রাসী বোলিংয়ে মুগ্ধ দুই ক্যারিবিয়ান কিংবদন্তি জোরে বোলার অ্যান্ডি রবার্টস ও কার্টলে অ্যামব্রোজ।
রবার্টস তো বুমরাহকে অভিহিত করেছেন তাঁর দেখা সেরা ভারতীয় পেস বোলার হিসেবে। তিনি বলেন, ‘আমাদের সময়ে ভারতের মূল শক্তি ছিল স্পিন বোলিং। ভাল পেস বোলার ছিল, কিন্তু বিদেশের মাটিতে দলকে জেতাতে পারত না। কপিলদেব ছাড়াও বেশ কয়েকজন ভাল জোরে বোলার অতীতে খেলে গেছে। কিন্তু কখনও ভাবিনি বুমরাহর মতো জোরে বোলার তৈরি করতে পারবে। বুমরাই আমার দেখা সেরা ভারতীয় পেস বোলার। খুব বেশি টেস্ট খেলেনি। কিন্তু দেখে মনে হচ্ছে দারুণ অভিজ্ঞ। দ্রুত শিখছে।’
বুমরাহ কেন ব্যাটসম্যানদের কাছে আতঙ্ক হয়ে উঠেছে? রবার্টসের মতে, বোলিংয়ের সময় তাঁর অদ্ভুত দৌড় ও বোলিং–ভঙ্গি ব্যাটসম্যানদের ছন্দ নষ্ট করে দেয়। তিনি ব্যাখ্যা দিয়েছেন, ‘বোলাররা যখন দৌড় শুরু করে, ব্যাটসম্যানরা মানসিকভাবে স্থির থাকার চেষ্টা করে। ব্যাটসম্যানরা বোলার, বোলিং–ভঙ্গি, বোলারের ঠোঁট, বল কীভাবে ধরেছে, কীভাবে ছাড়ছে, এসবের দিকে নজর দেয়। যদি সাইড অন বোলার হয়, তাহলে চিন্তাভাবনা একরকম থাকে। আবার হাই আর্ম বোলার হলে অন্যরকম ভাবনা থেকে। যদি বোলারের রান আপ বেশি হয়, তাহলে আবার একরকম হয়। বুমরাহর ক্ষেত্রে ব্যাটসম্যানরা চিন্তাভাবনা করার সময় কম পায়। ও যা কিছু করে, সবই অন্যরকম। ওর ক্রিকেটবোধ সবথেকে আকর্ষণীয়।’
বুমরাহর ক্রিকেটবোধে মুগ্ধ অ্যামব্রোজও। তিনি বলেন, ‘উইকেট ও ব্যাটসম্যান দেখে লেংথে দারুণ বৈচিত্র্য নিয়ে আসে বুমরাহ। বিশ্বকাপে ওর খেলা দেখেছি। পরিবেশ ও ব্যাটসম্যান দেখে সিদ্ধান্ত নেয় কোন লেংথ বোলিং করবে। এটাই ব্যাটসম্যানের জীবন দুর্বিষহ করে দেয়। বুমরাহ আমাকে কোর্টনির (ওয়ালশ) কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে।’