গত ৫ আগস্ট সংসদে ৩৭০ ধারা বাতিল করে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা খারিজের ঘোষণা করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সংখ্যাগরিষ্ঠতার বলে বিল পাশ করিয়ে কাশ্মীর থেকে লাদাখকে বিচ্ছিন্ন করে দু’টি পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গঠন করার ঘোষণা করেন তিনি। আর তারপর থেকেই স্তব্ধ ভূস্বর্গ। নেই ইন্টারনেট পরিষেবা। বন্ধ স্কুল-কলেজ-দোকানপাট সমস্ত কিছুই।
তবে দু’সপ্তাহ টানা ‘ঘরবন্দী’ থাকার পর এবার স্বাভাবিক ছন্দে ফেরার চেষ্টা করছে উপত্যকা। আগেই খুলে গিয়েছিল বেশ কিছু প্রাইমারি স্কুল। আর আজ বুধবার থেকে জম্মু-কাশ্মীরে খুলে যাবে সব উচ্চ বিদ্যালয়। মঙ্গলবারই এই খবর জানায় নতুন তৈরি হওয়া কেন্দ্র শাসিত রাজ্যের প্রশাসন।
উল্লেখ্য, এর আগে শ্রীনগরের ৯০০ স্কুলের মধ্যে খুলেছিল ১৯৬টি। কিন্তু গত ক’দিনে সেখানে পড়ুয়াদের উপস্থিতি অত্যন্ত কম। শিক্ষকদের হাজিরাও পর্যাপ্ত ছিল না। জানা গেছে, অনেক স্কুলে নির্ধারিত সময়ের আগেই ছুটি দিয়ে দেওয়া হচ্ছিল। তবে সম্প্রতি জম্মু-কাশ্মীরের শিক্ষা দফতরের ডিরেক্টর ইউনিস মালিক জানিয়েছেন, ‘প্রাইমারি ও মিডল স্কুল আগেই খুলে দেওয়া হয়েছিল। বুধবার থেকে সেই সব এলাকার হাইস্কুলও খুলে দেওয়া হবে যেখান থেকে সব নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছে।’
তবে শুধু স্কুল নয়, যে সব এলাকা থেকে কড়া নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছে সেখানে দোকান ও বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফে। জম্মু-কাশ্মীরের তথ্য ও জনসংযোগ ডিরেক্টর সেহরিশ আসগর জানিয়েছেন কাশ্মীর উপত্যকার প্রাইমারি ও মিডল স্কুলে গত কয়েকদিন ধরে পড়ুয়াদের উপস্থিতিও বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। স্থানীয় মানুষের সুবিধের কথা মাথায় রেখে যান চলাচলও স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে।