রবিবারের ডার্বির আগে আজ কল্যাণীতে বিএসএসের বিরুদ্ধে প্রথম জয়ের খোঁজে মোহন বাগান। কলকাতা লিগে এখনও অবধি জয়ের খোঁজ পায়নি ভিকুনার দল।ফলে আজ জিততে মরিয়া সবুজ-মেরুন বাহিনী।
সময় গড়ানোর সঙ্গে কলকাতা ফুটবলের চাপ টের পাচ্ছেন পালতোলা নৌকার প্রধান কান্ডারি। ঘরের মাঠে ডুরান্ড হাতছাড়া। লিগে প্রথম দু’ম্যাচে চার পয়েন্ট খুইয়ে খেতাবের দৌড়ে পিছিয়ে গিয়েছে মোহনবাগান। তার উপরে আজ রঘু নন্দীর বিএসএস স্পোর্টিংয়ের বিরুদ্ধে নতুন করে রক্ষণ সাজাতে হচ্ছে তাঁকে। কারণ ফ্রান মোরান্তের সঙ্গে নিয়মিত খেলোয়াড় কিমকিমা কার্ডের জন্য খেলতে পারছেন না। চোটের জন্য অনিশ্চিত আশুতোষ মেহতাও। ফলে রক্ষণে দু’টো জায়গায় পরিবর্তন হতে পারে মোহনবাগানে। এ দিন সকালে ঘণ্টা দেড়েক অনুশীলনের পর জোসেবা বেইতিয়াদের কোচ স্বীকার করে নিলেন, ‘‘বারবার রক্ষণে পরিবর্তন করলে ক্ষতি হয়। কিন্তু উপায় নেই। আমি জানি, আমাদের প্রতিপক্ষ দলে ভাল বিদেশি আছে। ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে ওরা হারার মতো খেলেনি,’’ বলার সময় কপালের ভাঁজ গভীর হয় কিবুর।
বিএসএস ম্যাচের শেষ প্রস্তুতি মঙ্গলবার সকালে নিজেদের মাঠে সেরে নিলেন কিবু ভিকুনা। সোমবার অসুস্থতার জন্য প্র্যাকটিস করাতে পারেননি তিনি। মঙ্গলবার অনুশীলনে নেমেই নতুনভাবে রক্ষণ সাজানোর কাজে নেমে পড়েন স্প্যানিশ কোচ। বিএসএস দলে উইলিয়াম ওপোকুর মতো ফুটবলার থাকায় রক্ষণ নিয়ে মোহন বাগানের স্প্যানিশ কোচের উদ্বেগ বাড়ছে। আজ ধনচন্দ্র সিং খেলবেন লেফট ব্যাকে খেলবেন । বুধবার কল্যাণীতে মোহন বাগান জার্সি গায়ে অভিষেক হচ্ছে চুলোভার। ডুরান্ডে ২২ জনের দলে তাঁকে না রেখে ভুল করেছিল মোহন বাগান। ডুরান্ডে নাম নথিভুক্ত করার শেষ দিনের আগেই চুলোভার সঙ্গে চুক্তি হয় মোহন বাগানের। আরেকটু আগে এনে প্র্যাকটিস করালে ডুরান্ড কাপের নক-আউটে মোহন বাগান চুলোভাকে পেত। এবার রাইট ব্যাকে অরিজিৎ বাগুই কিংবা আশুতোষ মেহতা কেউই নিজেদের উপর আস্থা নিয়ে খেলতে পারেননি। আশুতোষের জন্যই মোহন বাগান ডুরান্ড কাপ ফাইনালে দ্বিতীয় গোলটি খেয়েছিল। তাই ডার্বির আগে চুলোভা কতটা ম্যাচ ফিট সেটা দেখে নিতে চাইছেন কিবু।
মোহন বাগান কোচ ভিকুনা এদিন সাংবাদিকদের বলেন,‘রক্ষণ নিয়ে দুর্বলতা আছে দলে। সমস্যা আছে ডিফেন্সিভ ব্লকার নিয়েও। এই পজিশনে কোনও খেলোয়াড়কেই ফিট করা যাচ্ছে না। আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। মিডল হাফে তেমন ভালো ব্লকার না থাকায় সমস্যা আরও বাড়ছে। স্বাভাবিকভাবেই চাপ পড়ছে রক্ষণের উপর। কল্যাণীর মাঠ নিয়ে আমার কোনও ধারণা নেই। ওই ম্যাচে অতীতে আই লিগের ম্যাচের ভিডিও ক্লিপিংস দেখেছি। শুনেছি, মাঠটি ময়দানের ঘেরা মাঠের থেকে বড়। এটা উইং প্লে’র ক্ষেত্রে একটি ইতিবাচক দিক। কিন্তু বুধবার ম্যাচের আগে বৃষ্টি হলে মুশকিল। এখানে বৃষ্টি থামলেও ঘাসের নীচে জল জমে থাকে। বল জমিতে রেখে খেলার কথাই আমি ফুটবলারদের বলি। মাঠের দুরবস্থার জন্য বেইতিয়া-চামোরোদের পাসিং ফুটবল খেলতে অসুবিধা হচ্ছে। রবিবার ইস্ট বেঙ্গল- বিএসএস ম্যাচটি দেখার জন্য সহকারী কোচ রঞ্জন চৌধুরিকে পাঠিয়েছিলাম। বুধবারের পর রবিবার ইস্ট বেঙ্গলের বিরুদ্ধে খেলা। হোম ওয়ার্ক করা আছে। তবে আপাতত বুধবারের ম্যাচ থেকে কীভাবে তিন পয়েন্ট পাওয়া যায় তাই নিয়েই ভাবছি। বুধবারের ম্যাচে খেলোয়াড়দের মূল্যায়ন করার পর বৃহস্পতিবার থেকে ডার্বি নিয়ে পরিকল্পনা করব।’