আবারও সংবাদের শিরোনামে যোগী রাজ্য উত্তরপ্রদেশ। সামনে এল এক চাঞ্চল্যকর খবর।যৌন নিগ্রহের অভিযোগ উঠল প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা স্বামী চিন্ময়ানন্দের বিরুদ্ধে।আর অদ্ভুত ভাবে এই অভিযোগ আনার পর থেকেই খোঁজ মিলছে না ওই ছাত্রীর।
সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা ভিডিয়োয় অভিযোগকারিণী বলেন, ‘‘ওই প্রভাবশালী নেতা এবং সন্ন্যাসী অনেক মেয়ের জীবন নষ্ট করেছেন। আমাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছেন। ওঁর বিরুদ্ধে সমস্ত প্রমাণ রয়েছে আমার কাছে। আমার পরিবারকেও প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছেন উনি। কী অবস্থায় রয়েছি, শুধুমাত্র আমিই জানি। সন্ন্যাসী হয়েও আমাকে হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন উনি। বলছেন, পুলিশ, জেলাশাসক এবং প্রশাসনিক কর্তারা ওঁর পকেটে। কেউ ওঁকে ছুঁতে পর্যন্ত পারবে না। আপনাদের কাছে সুবিচার চাইছি আমি।’’ এর আগেও অনেকে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানোর চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু ভয় দেখিয়ে তাঁদের মুখবন্ধ করে দেওয়া করে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
ভিডিয়োটি ভাইরাল হতে সময় লাগেনি। আর তার পর দিন থেকেই নিখোঁজ ওই তরুণী। স্বামী চিন্ময়ানন্দের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই থানায় লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন তাঁর বাবা। তাঁর মা জানিয়েছেন, রাখির দিন শেষ বার বাড়িতে এসেছিলেন মেয়ে। সারা ক্ষণ ফোন বন্ধ রাখায় জানতে চেয়েছিলেন তিনি। জবাবে মাকে মেয়ে বলেছিলেন, ‘‘একটানা ফোন বন্ধ থাকলে বুঝি নিয়ো বিপদে পড়েছি। আমার হাতে ফোন নেই।’’ মায়ের কথায়, ‘‘খুব কষ্টের মধ্যে ছিল ও। জানিয়েছিল কলেজ থেকে নৈনিতাল পাঠাচ্ছে ওকে। তার পর আর খোঁজ পাইনি ওর।’’
ওই তরুণীর বাবার কথায়, ‘‘আমাকে ব্যক্তিগত ভাবে কিছু বলেনি ও। কিন্তু রাখির দিন যখন এসেছিল, খুব চিন্তিত দেখাচ্ছিল ওকে। গত চার দিন ধরে ওর কোনও খবর পাইনি। কেলজের ডিরেক্টর স্বামী চিন্ময়ানন্দের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছি। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি।’’ বিষয়টি নিয়ে শাহজাহানপুরের এসএসপি এস চিনাপ্পার সঙ্গে যোগাযোগ করে একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম। কিন্তু তিনি কোনও ভিডিয়ো দেখেননি বলে জানিয়েছেন।
অভিযোগকারিণী ওই তরুণী উত্তরপ্রদেশের শাহজাহানপুরের বাসিন্দা। স্থানীয় ‘এসএস ল কলেজ’-এ স্নাতকোত্তর স্তরের ছাত্রী। স্বামী চিন্ময়ানন্দ ওই কলেজেরই ডিরেক্টর জেনারেল। গত শনিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেন অভিযোগকারিণী। তাঁকে এবং তাঁর পরিবারকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে জানান। স্বামী চিন্ময়ানন্দের দিকেই আঙুল তুলছে মেয়েটির পরিবার। লোক লাগিয়ে তিনি মেয়েটিকে তুলে নিয়ে গিয়েছে বলে দাবি তাদের।